সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি আইন হলে দুর্নীতি বাড়বে : আলী ইমাম মজুমদার
তানজিনা তানিন : সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবেÑ এ আইন দুর্নীতি দমন কমিশনকে বাদ রেখে কার্যকর করা উচিত বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ফৌজদারি মামলা কার্যবিধি অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিতে হলেও অনুমতি নিতে হয় কর্তৃপক্ষের। এতে দুর্নীতির সুযোগ বাড়ার সাথে সাথে দুর্নীতিকারীরাও পাড় পেয়ে যায়।
সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সরকারি র্কমচারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করার আগে কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। গত ২১ অক্টোবর রবিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক সংসদে একটি বিল পেশ করেন। ‘সরকারি চাকরি বিল-২০১৮’ প্রসঙ্গে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না। তা না হলে সরকারি খাতে দুর্নীতির আশঙ্কা বেড়ে যাবে। এ আইন দুর্নীতি দমন কমিশনের হাত-পা বেঁধে দিবে। যেকোনো দুর্নীতি সনাক্ত ও দমনে দুদকের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আইন কার্যকর হলে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বেড়ে যাবে । তাদের শাস্তির জায়গায় ফাঁক তৈরি হবে। যা দুর্নীতির পথকে প্রসার করবে। তাই আমার মনে হয় আইন প্রণয়ন হলেও দুদককে বাদ রেখে করা উচিত। দুদককে এ আইনের আওতায় আনা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।