আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর ব্যর্থতার পর এবার এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে নদী ও জলজ জীবন নিয়ে কাজ করা ৩ দেশের বেসরকারি বেশ কিছু সংগঠন। ৫ বছর ধরে এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজ করার পর বাংলাদেশ, চীন ও ভারতের বেশ কিছু এনজিও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংলাপে বসবে বলে জানিয়েছে। বহ্মপুত্রের পানি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আলোচনার গতি অত্যন্ত ধীর। দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধীর রীতি ট্র্যাক ওয়ান কূটনীতি নামে পরিচিত। বড় সমস্যা হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ৩ দেশে ৩ নামে পরিচিত। চীনে এ নদীর পরিচয় ইয়ারলঙ-সংপো নামে। ভারতে ব্রহ্মপুত্র। আর বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নামে প্রবেশ করলেও কালক্রমে এর মূলধারা পরিনত হয়েছে যমুনায়। এ কারণে কূটনীতিতে এই নদী অন্যরকমের এক সংকট তৈরী করেছে। সম্প্রতি এ নদীর বিপুল শক্তিকে ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। এ উদ্দেশ্যে তিব্বতে বাঁধ নির্মান করছে তারা। ভারত এবং বাংলাদেশ এ বিষয়ে আপত্তি জানালেও চীন আলোচনার জন্য খুব একটা সাড়া দেয়নি।
২০১৩ সালে সাচিওয়াটার নামে এক সংস্থা ব্রহ্মপুত্র সংলাপ নামে এক প্রকল্প হাতে নেয়। এতে সহায়তা করে বিশ^ব্যাংক। এ সংলাপের উদ্দেশ্য ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার বিভিন্ন গ্রুপকে একত্রিত করা। ২০১৩৪-১৪ সালে এ প্রকল্পের আওতায় ভারত এবং বাংলাদেশের গ্রুপগুলোকে একত্রিত করা হয়। ২০১৪-১৫ সালের ২য় ধাপে তাদের সঙ্গে চীন এবং ভুটানের এনজিও ও গবেষকদের যুক্ত করা হয়। আয়োজকরা মনে করছেন সরকারি পর্যায়ে না হলেও অন্তত বেসরকারি পর্যায়ে এ বৃহৎ নদী সমস্যার সমাধান হবে। দ্য থার্ড পোল