২০২৩ সালে ইসলামি অর্থনীতির আকার হবে ৩ লাখ কোটি ডলার
নূর মাজিদ : সময়ের সাথে বিশ্ব ইসলামি অর্থনীতির আকার ও পরিচালনার ধরনে নতুন পরিবর্তন আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বিশ্ব ইসলামি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। ফলে বিশ্বব্যাপী হালাল ব্যবসায়, মূলধন ও বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সেবার চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এসব অগ্রগতির কারণে শুধু ২০১৭ সালেই বিশ্ব ইসলামি অর্থনীতির আকার ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হয়। রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সাল নাগাদ এর পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে হালাল পণ্য ব্যবহার সচেতনতায় এই ধরণের অর্থনীতিক বিকাশের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ কোটিতে উন্নীত হবে, যা বিশ্বের অন্যান্য ধর্মালম্বী জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চাইতে দ্বিগুণ বেশি। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মুসলিম দেশগুলোতে যে বিপুল পরিমাণ নবীন জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে- তারা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে অধিক ঝুঁকেছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হালাল পণ্য ও সেবার ব্যবসায়গুলো তাদের ব্যবসায়ে পরিবর্তন এনেছে এবং ভোক্তাচাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান করা আরম্ভ করেছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের পাশাপাশি হালাল পণ্যের নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোও যথেষ্ট ভালো করছে ইসলামিক অর্থনীতির বাজারে।
তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একমাত্র প্রধান কারণ নয়, শরিয়া আইনের ব্যবসায়িক উদ্যোক্তারা এখন তাদের ব্যবসায়িক পরিমন্ডল বিস্তৃত করছেন। বিশেষ করে, ইসলামিক বিনিয়োগ ব্যবসায় বিশ্বের মূলধন বাজারে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এছাড়াও হালাল খাদ্য এবং পর্যটনের ব্যবসায়ের প্রসারও যথেষ্ট অবদান রাখছে। খালিজ টাইমস