আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি : ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হল ঐক্যের দৌড়। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তির নীচে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, ‘এই মূর্তি ঐক্যের। দেশবাসীকে এই মূর্তি উৎসর্গ করা হল।’ গতকাল বুধবার ভারতের লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী। তাই এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল গগনচুম্বী মূর্তি উন্মোচনের জন্য। সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে ৫৯৭ ফুট বা ১৮২ মিটার উঁচু মূর্তির উন্মোচন অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিন মূর্তির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস পালন করছে গোটা দেশ। দেশের প্রতিটি কোণে একতার জন্য যুবসমাজ দৌড়চ্ছে। আজকের এই দিনটি দেশের কাছে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। এতদিন সর্দার প্যাটেলকে সেই যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার সেটা করে দেখিয়েছে এবং নতুন ইতিহাসও তৈরি করেছে। ভারত ভবিষ্যতে চলার পথে প্রেরণা পাবে। সর্দার প্যাটেলের মূর্তি দেশকে সমর্পণ করে ভালো লাগছে।’
তিনি আরও বলেন,‘সর্দার প্যাটেলের সংকল্পেই দেশ অখ- আছে। তিনি এই দেশের জন্য প্রচুর কিছু করেছেন। সর্দার প্যাটেলের এই মূর্তি নতুন ভারতের অভিব্যক্তি। এটা কৃষকদের আত্মমর্যাদার প্রতীক।’ গুজরাটের কেওড়িয়াতে নর্মদা নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিটি। নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’।
চীনের স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধ’র থেকে ১৭৭ ফুট উঁচু ও নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির উচ্চতার প্রায় দ্বিগুণ এই মূর্তি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। মূর্তিটির নকশা তৈরি করেছেন পদ্মভূষণ প্রাপ্ত স্থপতি রাম ভি সূতর। ঐক্যের মূর্তি উন্মোচন নিয়ে বিতর্কও কিছু কম হয়নি। একদিন আগেই টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনেই ঐক্যের মূর্তি উদ্বোধন করে গোটা দুনিয়ার নজর কাড়বেন তিনি।