তানজিনা তানিন : এখন পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে। যদি নির্বাচনে কোনো সমস্যা না হয়, যে দলই ক্ষমতায় আসুক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরবে না বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের কারণে ব্যাংকিং খাতে অনেক অর্থ সরবরাহ হবে, ফলে ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক ঋণসুবিধা পাবে। যা আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সম্ভবনা কম। যা অর্থনীতিতে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করতে সাহায্য করবে বলে তিনি মনে করেন। নির্বাচনের সময় অনেক অর্থ খরচ হয়। বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে শহর থেকে গ্রামে অনেক অর্থ পাঠানো হয়। যা গ্রামের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে নিযুক্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ। ফলে সাময়িক বেকারত্ব ঘুচবে।
ড. আতিউর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের চিত্র দৃশ্যায়িত হলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আস্থা বাড়বে। ইতোমধ্যে একশ টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করার প্রকল্প চলছে। যার মধ্যে প্রায় দশটি বেসরকারি জোন চালু হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার এলে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।
ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণসুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ ঋণ পায়, ছোট উদ্যোক্তারা তা পায় না। নির্বাচনের কারণে প্রায় দশ শতাংশ খেলাপি ঋণ কমবে। ঋণখেলাপিরা আবারও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসায় সচল হবে, ফলে কমপক্ষে দশ হাজার কোটি টাকা ব্যংকে আসবে। যার অনেকাংশই মধ্যম ও ছোট উদ্যোক্তাদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। বড় ব্যবসায়ীরাই যেন সব ঋণ পেয়ে না যায় সেদিকে কর্তৃপক্ষের খেয়াল রাখতে হবে।