সাইদ রিপন : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে ৪ নভেম্বর সিদ্ধান্ত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ তফসিলে কোনো প্রভাবও ফেলবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নুরুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ইসি প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, সংলাপ চলছে এটার বিষয়ে আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু ৪ নভেম্বরের আগে তফসিল নিয়ে কিছু বলতে পারব না। সংলাপ নির্বাচনের পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে। নির্বাচন সেভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষাতের বিষয়বস্তু নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কোনো জরুরি সাক্ষাতকার নয়, এটা একটা আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতকার। এই সাক্ষাতকার রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করার। আমাদের প্রস্তুতি কতদূর, ভোটার তালিকা হলো কি না এ জাতীয় বিষয়গুলো জানিয়েছি রাষ্ট্রপতিকে। রাষ্ট্রপতি আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া-নেয়ার কোনো বিষয় নেই। তফসিল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, তফসিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা ৪ নভেম্বর কমিশন সভা করবো। তবে যেদিন আমি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবো সেদিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। আমরা শুনেছি, সংসদ নির্বাচন আগামী ২৭ ডিসেম্বর হবে বলে রাষ্ট্রপতিকে আপনারা অবগত করেছেন। এটি সত্যি কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিলই তো হয়নি এখনও। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া অর্ডার পেয়েছি, যিনি দরখাস্ত করেছে তারটাও পেয়েছি। নথি আমাদের কাছে রয়েছে, আমরা কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবো।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সিইসি বলেছিলেন বিএনপির নির্বাচনে না আসা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এবার নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্দেশ্যে আপনি কিছু বলতে চান কি না আরেক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, না, আমি কিছু বলতে চাই না। আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যান। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। রাষ্ট্রপতি বিকেল ৪টায় সময় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে করেন। সম্পাদনা: মাহবুব আলম