আবু সুফিয়ান শুভ : বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। ব্রাজিলের ক্লাব থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেয়া নিয়ে এই বিতর্কের শুরু। যার জেরে লিওনেল মেসি ও রোনালদোর পর স্পেনে ৬ বছর কারাবাসের মুখে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। স্পেনে সাধারণত দুই বছরের শাস্তি হলেও সরাসরি জেল খাটতে হয়নি মেসি-রোনালদোর। কিন্তু ব্রাজিলে সে সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত স্পেনে বিচার হলে আর্জেন্টাইন-পর্তুগিজ তারকার মতো একই অবস্থা হতে পারে ব্রাজিলিয়ান তারকার ক্ষেত্রেও। গোল.কম
দলবদল নিয়ে নেইমার যেমন বিতর্কে জড়িয়েছেন, তেমনি বিতর্কে জড়িয়েছে বার্সেলোনাও। মাদ্রিদের কোর্টের বিচারপর্ব প্রায় শেষ। আগামী মাসেই শুনানিপর্ব শেষ হবে, তারপরেই রায়।
মামলা যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মুখে নেইমার। সেটা হলে ৬ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে পিএসজি তারকার।
বিচারে নেইমারের যদি ৬ বছরের জেল হয়, তাহলে বার্সেলোনার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোসেলও কারাবাসের সম্মুখীন হবেন। যদিও অন্য মামলায় তিনি এখনো জেলেই আছেন।
২০১৪ সাল থেকে শুনানি চলছিল। মাদ্রিদের ফৌজদারি কোর্টে তিন বিচারপতি বসেছিলেন নেইমারের মামলা নিয়ে। মামলার পক্ষ তিনটি। একদিকে নেইমার, অন্যদিকে বার্সেলোনা। মাঝে নেইমারের এজেন্ট।
নেইমারকে অর্থ দেয়া নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতি করা হয়েছে বলে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ। সেই দোষে দুষ্ট নেইমার স্বয়ং। সেখানে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, অর্থের লেনদেনের মধ্যে গরমিল ধরা পড়েছে।
শুধু নেইমার নন, বার্সেলোনার মতো ক্লাব কীভাবে এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হল, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। ক্লাবের ম্যানেজমেন্টও এই গরমিলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে সবাইকেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, সান্তোস থেকে বার্সেলোনা আসার সময় নেইমারের মূল্যের ৪০ ভাগ মালিকানা ছিল ডিআইএসের। প্রথমে জানা গিয়েছিল সান্তোস থেকে নেইমারকে কেনার সময় ১৭.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু পরে জানা যায় নেইমারকে আনতে আসলে ৫৭.১ মিলিয়ন খরচ হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস তাই অভিযোগ করেছিল, দলবদলের আসল অঙ্কটা গোপন করে তাদের ঠকানো হয়েছে।
এর ফলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছিল। সেখানেই নেইমারের বিরুদ্ধে দুই বছরের জেলের শাস্তি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে শাস্তি বেড়ে এখন ৬ বছরও হয়ে যেতে পারে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন