তফসিলের আগে রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্প একনেকে উঠছে আজ
সাইদ রিপন : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আবহ বইতে শুরু করেছে সবখানে। চলতি সপ্তাহে জাতীয় এ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ সদস্যদের তুষ্ট করতে একের পর এক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা করছে সরকার।
সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ২৫টি প্রকল্প একনেকে উপস্থাপনের জন্য সম্মতি দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর বাইরে আরো ৮টি প্রকল্প টেবিলে উপস্থাপন করা হতে পারে। এর আগের বৈঠকে ২৪টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। গত একনেকে বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এতো বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম পাঁচ মাসে একনেক ১৭২টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে ১ লাখ ৩৮৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল দিবে ১৬ হাজার ৪৭৭ কোটি ৫৪ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ২৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের শেষ সময় এসে তাড়াহুড়া করে এতো প্রকল্প অনুমোদন দেয়া ঠিক না। কারণ বর্তমানে অনুমোদিত বেশিরভাগ প্রকল্পই এমপিদের খুশি করার জন্য। বিচার-বিবেচনা না করে প্রকল্প অনুমোদন দিলে ভবিষ্যতে আবারও এগুলো সংশোধন করে ব্যয় ও সময় বাড়াতে হবে। আর প্রকল্প সংশোধন দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখকর নয়।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সক্ষমতার কিছুটা অভাব থাকলেও এখন যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি একটি টেকসই গতিশীলতার মধ্যে এসে পৌঁছেছে। সেই গতিশীলতা ধরে রাখতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সব জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই প্রকল্প গ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের চোখে যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সম্পাদনা : সোহেল রহমান