বাসস : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে প্রথম দিনে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই খেলার মধ্য দিয়ে দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় স্টেডিয়ামটির। আর সারা বিশ্বের ১১৬তম টেস্ট ভেন্যু এটি।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চা বাগান আর টিলাঘেরা স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম প্রকৃতিতে যেমন মুগ্ধ সবাই, তেমনি সবগুলো খেলায় দর্শকপ্রিয়তার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে সিলেট।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সচরাচর টেস্ট খেলায় দর্শক উপস্থিত হাতেগোনা হলেও শনিবার সিলেট স্টেডিয়ামে দর্শক সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। ক্লাব হাউজ, ইস্টার্ণ ও ওয়েস্টার্ণ গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শকদের আগমন আরো বাড়তে থাকে। বিসিবি’র পরিচালক শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘টেস্ট অভিষেকে প্রথম দিনে দর্শকদের উপস্থিতি অনেক ভাল হয়েছে। প্রথম দিন গ্যালারী পরিপূর্ণ না হলেও পরবর্তীতে আরো বাড়বে। বেশি বেশি ম্যাচ হলে সবাই খেলা দেখার সুযোগ পাবে।’ সিলেট স্টেডিয়ামে সাড়ে ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে। গত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টিকিটের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। আয়োজকরা দর্শক উপস্থিতির জন্য সন্তোষ প্রকাশ করলেও দর্শকরা বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হলে দর্শক উপস্থিতি আরো বাড়বে। ক্লাব হাউজে বসে খেলা উপভোগ করছেন ক্রিকেট ভক্ত তারেক হাসান। বললেন, জিম্বাবুয়ে দল ব্যাটিং করছে, এজন্য বন্ধুবান্ধব অনেকে খেলা দেখতে আসেনি। তার বন্ধুরা বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মেয়েকে নিয়ে খেলা দেখতে আসা অধরা ভৌমিক বলেন, স্কুল ছুটি থাকায় মেয়েকে নিয়ে এসেছেন।
কাল হয়তো আসার সুযোগ হবে না। বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখার সুযোগ পেলে ভাল হতো।
‘দ্য ফাইভ মিনিটস বেল’ বাজিয়ে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট খেলা শুরু হয় সকাল ১০টায়। এর আগে সকাল ৯টায় খুলে দেয়া হয় স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথ। আগেই বিপুল সংখ্যক দর্শক ভিড় করেন ফটকগুলোতে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে সবাই প্রবেশ করেন গ্যালারীতে। ম্যাচটি দেখতে অনেকেই এসেছেন সিলেটের পাশ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে।