অন্য রকম মাশরাফি!
স্পোর্টস ডেস্ক : মাশরাফি মানেই রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। মাশরাফি মানেই অনুপ্রেরণা। মাশরাফি মানেই ভিন্ন কিছু। তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ দলের একেকজন ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠে আগ্রাসী টাইগার, আর বোলার হয়ে ওঠে হিংস্র বাঘ। সুযোগ পেলেই শিকারে পরিণত করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের। -বিডিপ্রতিদিন।
ঠিক এ রকম অনুপ্রেরণা নিয়েই মাশরাফি এবার শুরু করেছেন কৃষি কাজ। শহরে দম বন্ধ হয়ে আসে, এমন আক্ষেপ প্রায় শোনা যায় মাশরাফির মুখে। তাই সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যোন নড়াইলের নিজ গ্রামে।
মাশরাফি নিজ গ্রামে আছেন আর মাঠে খেলছেন না এমন দৃশ্য খুব বিরল। গ্রামে গেলেই তিনি ভুলে যান শহুর পোশাকের কথা। জার্সি, ট্রাউজার ছেড়ে লুঙ্গিতেই যেন আনন্দ পান বেশি। এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের অন্যতম ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে যান একজন কৃষকও।
ক্রিকেট মাঠের ২২ গজে তিনি যেমন দেশের জন্য স্বপ্নের ফসল ফলান। তেমন গ্রামের পুকুরে মাছ, নিজের ক্ষেতের নান রকম সবজি চাষ সবই করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন বাবা গোলাম মুর্তজা। মূলত বাবার কাছ থেকেই তিনি উৎসাহ পেয়েছেন গ্রামের মাটিতে ও পুকুরে স্বপ্ন ফলানোর। আর তাতেই এখন শহরে বসে কিনে খেতে হয় না মাছ কিংবা সবজি। ৮ই নভেম্বর ২০০১ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলে তার অভিষেক। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন নড়াইল ‘এক্সপ্রেস’।
১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কত দেশ, কত শহর, অর্থ, বিত্ত-বৈভব পেয়েছেন মাশরাফি। পেয়েছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বের ভালোবাসা। কিন্তু তিনি ভোলেননি মাটির টান, গ্রাম বংলার সবুজের প্রতি ভালোবাসা। যে কারণে সবার জন্য তিনি সত্যিকারের ‘মাটির মানুষ’।
খুলনা বিভাগের নড়াইল শহরের অদূরে জুড়ালিয়া গ্রামে মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা ১৬ বছর আগে কিনেছিলেন একটি পুকুর। তার বাবা সেই পুকুরেই মাছ চাষ শুরু করেন। তা দেখেই উৎসাহ পেয়ে মাশরাফি নিজেও কিনে ফেলেন আরো ৬টি পুকুর। বলতে গেলে মাশরাফির মাছ চাষের স্বপ্ন এখন ৭টি পুকুর জুড়ে।
এখানেই শেষ নয়, পুকুর পাড়ের খালি জমিও বাদ রাখেননি মাশরাফি। সেখানে শুরু করেছেন সবজির চাষ। লাউ থেকে শুরু, পটোল, ডাটা, পেঁপে সবই আছে। আছে নানা রকম শাকও। যে কারণে শহরে থাকলেও সবজি ও মাছ কিনে খেতে হয় না মাশরাফির। নিজের গ্রাম থেকে এসব মাছ ও সবজি চলে আসে তার ঢাকার বাসায়। শহরে বসেই তিনি স্বাদ নেন তার প্রিয় গ্রামের মাটিতে ফলা ফসলের। সম্পাদনা : আনিস রহমান