ভেনামির দখলে চলে যাচ্ছে চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার
সোহেল রহমান : আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির মত দেখতে একই প্রজাতির ‘ভেনামি’ মাছের চাহিদা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এক পাউন্ড চিংড়ির দাম যেখানে ৭ ডলার, সেখানে মাত্র ৪ ডলারেই সম-পরিমাণ ‘ভেনামি’ পাওয়া যায়। এ কারণে আমেরিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চিংড়ির বাজার ক্রমেই দখল করে নিচ্ছে ‘ভেনামি’। তবে দেশে ‘ভেনামি’ চাষের অনুমতি এখনো দেয়নি সরকার।
‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’ (ইপিবি)-এর হিসাব মতে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে হিমায়িত পণ্য খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে হিমায়িত পণ্য খাতে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিলো ২২ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। সেদিক থেকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এবার রফতানি আয় ৪ কোটি ডলার বেশি হলেও এটা গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) একই সময়ের তুলনায় ৩ কোটি ডলার কম।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর নেতারা জানান, হিমায়িত পণ্যের রফতানি কমছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে হিমায়িত পণ্যের রফতানিকারক যেখানে ছিলো ১৪০টি প্রতিষ্ঠান, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ভেনামির সঙ্গে দামে পেরে উঠছে না চিংড়ি। এখন যদি দেশে ভেনামি উৎপাদন না করা হয় তাহলে আরো বিপাকে পড়তে হবে।