মুশফিক কীর্তিতে বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা
এল আর বাদল : এই ভালো, এই খারাপ। টাইগার ক্রিকেটাররা কখন যে কী করে বসবেন তা হয়তো তারা নিজেরাও জানেন না। যে দল সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারলো, সেই একই দল গতকাল মিরপুর টেস্টে সফরকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। তবে দিনটিকে দারুণভাবে রাঙিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার হার না মানা ডাবল সেঞ্চুরি জিম্বাবুয়ান বোলারদের বুকে তীর মেরে বাংলাদেশকে রান পাহাড়ে নিয়ে যান।
গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪শ ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করা বাংলাদেশ কাটিয়েছে ঝলমলে একটি দিন। মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা পেয়েছে প্রত্যাশার চাইতেও বড় পুঁজি। ৭ উইকেট হারিয়ে ৫২২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলে জবাবে শেষ বিকালে সফরকারী জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান।
পড়ন্ত বিকেলে তাইজুল ইসলামের বলে সাজঘরে ফিরেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক করেন ১৪ রান।
মুমিনুল হকের ১৬১ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩০৩ রান করে প্রথম দিন শেষ করে। দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে মাত্র দুটি। যোগ হয়েছে ২১৯ রান। মুশফিক ও মেহেদী হাসান মিরাজের অষ্টম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ১৪৪ রান তুলে। অষ্টম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সেরা জুটি। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাঈম ইসলামের সঙ্গে মুশফিকের ১১৩ রানের জুটি ছিল আগের সর্বোচ্চ। ইনিংস ঘোষণার আগে মুশফিক ২১৯ ও মিরাজ ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন