এল আর বাদল : জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে শুরুর দুই সেশনে ৪ উইকেট নিয়ে স্বস্তিতেই দিন কাটছিলো টাইগার সেনাদের। সময়ের সাথে সাথে হৃদস্পন্দন বাড়ছিলো বাংলাদেশের। কারণটা খুব স্পষ্ট, জিম্বাবুয়ান দুই বেরসিক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর আর পিটার মুর যেভাবে প্রতিরোধ গড়ছিলো তাতে দুঃশ্চিন্তাই বেড়ে গেছিলো বাংলাদেশ শিবিরে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তৃতীয় সেশনে উইকেটের দেখা না পাওয়ায় হাতাশা ছড়ায় মাঠ থেকে গ্যালারিতে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পান টাইগার বোলাররা। শেষ বিকালে জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডারদের তাড়িয়ে স্বস্তিতে দিনপার করে রিয়াদবাহিনী। বোলাররা পড়ন্ত বিকালে দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়ে এ স্বস্তিটা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যাশিত ফলো-অনেও ফেলেছে জিম্বাবুয়েকে।
এতো স্বস্তির মধ্যেও কিন্তু আক্ষেপ লুকিয়ে আছে। ক্যাচ মিসে বেশ কয়েকটি উইকেট পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়া। এর ফলে দলের মূল পেসার মুস্তাফিজ ও অভিষিক্ত খালেদের উইকেটশূন্য থাকতে হলো। ব্রেন্ডন টেলর ও মুরের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ১৩৯ রানের জুটি ভাঙার পর ঝটপট আরও ৩ উইকেট তুলে স্বস্তি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন বাংলাদেশের ১১ ক্রিকেটার। ৫ উইকেটে ২৭০ থেকে জিম্বাবুয়ে থেমে যায় ৩০৪ রানে। মিরপুর টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটা মানানসই ছিলো না। সে কারণেই জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামাতে সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছে। ৯ উইকেটে ৩০৪ রানে জিম্বাবুয়ের সেশন শেষ হয়। নবম উইকেটে চাকাভার বিদায় ঘটলে দশম উইকেটে টেন্ডাই চাতারার ইনজুরি থাকার কারণে আজ চতুর্থ দিনে মাঠে নামতে পারছেন না বলে অলআউট মেনে নেয় জিম্বাবুয়ে। ফলে-অনে থাকা জিম্বাবুয়েকে আজ ক্রিজে পাঠাবে নাকি মাহুমদ উল্লাহরা ব্যাটিং নিবে, সেটাই দেখার বিষয়।
এদিন টেলর ও মুরের প্রতিরোধই জিম্বাবুয়ে ৩শ পাড়ি দেয়া ইনিংসের ভিত। মুর যখন উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের তখন ১৩১ রানে নেই ৫ উইকেট। ৮৩ রান করে মুর যখন আরিফুল হকের বলে এলবিডব্লিউ হন, সফরকারীদের রান তখন ২৭০। এ ডানহাতি ১১৪ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা হাকান।
টেলর অবশ্য ভুল করেননি। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট শতক। ১১০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ফেরেন সাজঘরে। ১৯৪ বলে ১০ চারে সাজান ইনিংসটি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন