নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২২/৭ স্কোর গড়েই ইনিংস ঘোষণা করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ২১৮ রানে পিছিয়ে থেকে ৩০৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। যদিও স্কোর বোর্ডে ৯ উইকেট আছে। কিন্তু তেন্ডাই চাতারা ইনজুরিতে থাকায় তাকে ক্রিজে নামাননি অধিনায়ক মাসাকাদজা। যার ফলে ফলোঅনে পড়েই শেষ করতে হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। কিন্তু কথা হলো জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে ফেলে আবারও ব্যাটিংয়ে নামাবে, নাকি নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে টাইগাররা? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে অপেক্ষা করতে হবে চতুর্থ দিনের খেলা মাঠে গড়ানো পর্যন্ত। কিন্তু তার আগে একটু ছোটখাটো বিশ্লেষণ করা যাক।
ঢাকা টেস্টে ২১৮ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়েকে যদি আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক, তবে সেটা হয়তো ভুলই হতে পারে। কেননা দুই ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ জিতে ইতিমধ্যে সিরিজে এগিয়ে আছে সফরকারীরা। আর তাই ঢাকা টেস্টের ড্র’র দিকে মনোযোগ দিবেন মাসাকাদজারা।
তার ওপর প্রথম ইনিংসে ব্রেন্ডন চারি, ব্রেন্ডন টেইলর ও পিটার মুরদের সাবলীল ব্যাটিং দেখে মনে ভয়ই ধরেছিল। তারাই যদি আবর জিম্বাবুয়ে হাল ধরেন তবে ড্র’র দিকেই এগিয়ে যাবে ঢাকা টেস্ট। পক্ষান্তরে স্বাগতিকরা যদি সফরকারীদের ফলোঅনে না ফেলে নিজেরা ব্যাটিংয়ে নামে তাহলে হয়তো দৃশ্যটা অনুকূলে থাকতে পারে। কেননা ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের দুই সেশন মিলিয়ে ১৫০-১৮০ রান তুলতে পারলে মোট স্কোর দাঁড়াবে ৩৫০+। এরপর দিনের শেষ সেশনে মাসাকাদজাকে ব্যাটিংয়ে নামার আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। শুধু ব্যাটিংয়ে ডাকলেই হবে না। বোলারদের যথাযথ দায়িত্বের পাশাপাশি কঠোর ফিল্ডিং দরকার। ঐ সেশনেই একাধিক উইকেট শিকার দরকার। ১০০ রানের আগে জিম্বাবুয়ের প্রথম সারির তিন বা চার ব্যাটসম্যানকে শেষ সেশনে ফেরাতে পারলেই ম্যাচ টাইগারদের অনূকুলে চলে আসবে। আর শেষ দিনে মাঠে নেমে দুই দিনেই জয় পাওয়া সম্ভব।