৭৮ কোটি টাকার বীজ প্রত্যয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে
মতিনুজ্জামান মিটু : ভাল বীজের জন্য দরকার মানসম্পন্ন প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া। আর এ জন্যে বীজ প্রত্যয়ন কার্যক্রম গতিশীল ও মানসম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে গত ৭ নভেম্বর ৭৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘বীজ প্রত্যয়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি। ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে দেশের ৮ বিভাগের ৬৪টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এখনো প্রকল্প কর্মকর্তা ও জনবল নিয়োগ হয়নি। ডিও এবং প্রশাসনিক আদেশের পর প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হতে অন্তত দুই মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর উপ পরিচালক (পরিকল্পণা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন) কৃষিবিদ ড. শুকদেব কুমার দাস।
প্রকল্পে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সদর দফতরে একটিসহ ১২টি জেলা অর্থাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেণী, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, বগুড়া, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং ময়মনসিংহে একটি করে অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি ফার্ম অফিস ভবন ও একটি কন্ট্রোল খামারের উন্নয়ন এবং ২৬টি মিনি বীজ পরীক্ষাগারকে সরবরাহ করা হবে দরকারি কারিগরী যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র। বীজ উৎপাদক ও ব্যবহারকারী কৃষক, বীজ ডিলার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৫৪৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া ২৬ জন কর্মকর্তার বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং ২২টি ওয়ার্কসপ, সেমিনার বা কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। সদর দফতর, ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১২টি জেলা কার্যালয়ে ২০টি প্রশিক্ষণ কক্ষ নির্মাণ করা হবে। এই সঙ্গে আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়গুলো সুসজ্জিত করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।
ভালো ফসল পেতে হলে দরকার ভালো বীজ। আর ভালো বীজের জন্য দরকার মান সম্পন্ন প্রত্যয়ন। সরকারের মতে, বীজের মান যাচাই শতকরা ২৫ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ ভাগে উন্নীত করে ফসলের উৎপাদন ও বীজের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতমানের বীজের ব্যবহার মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ। কৃষকেরা ব্যক্তিগত ও বেসরকারি উৎস থেকে সংগৃহীত নিম্নমানের বীজ দিয়ে কৃষি কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন