ভারত ভ্রমণে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ফাতেমা আহমেদ : তুলনামূলক ভাল স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা এবং নৈসর্গিক সব পর্যটন এলাকার টানে নিয়মিতই ভারতে ছুটে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভিসাপ্রাপ্তি আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশী দেশটিতে গমনে বাংলাদেশিদের এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখন ভারত ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিশ্বের সব দেশকে ছাপিয়ে এক নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলা ট্রিবিউন
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিদিন ৬-৮ হাজার ভিসা ইস্যু করছে হাইকমিশন। বাংলাদেশি যত লোক ভারতে যান, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই যান ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে, ৩০ শতাংশ মেডিকেল ভিসায়। বাকি ১০ শতাংশ যান অন্যান্য ভিসায়। দার্জিলিং, পর্যটকদের পছন্দের কেন্দ্র।
২০১৭ সালে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরে প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি ভারত ভ্রমণ করেছেন । যা ছিল ভারত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের প্রায় ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ছাপিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোকেও। ২০১২ সালে ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে ঈদসহ বিশেষ ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক ভিসা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সদিচ্ছা আর বর্তমান হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আন্তরিকতায় ভিসা প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ ও দ্রুততার সাথে হচ্ছে। তাই বাংলাদেশিদের গমনের হারও বেড়েছে।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, ২০১৭ সালে যেখানে ভারত ভ্রমণকারী বিদেশিদের মধ্যে ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি, সেখানে ২০১৮ সালের মার্চে এসে এ হার দেখা যায় ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর চলতি বছরের জুন মাসে এ হার দেখা গেছে ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
দার্জিলিং, কাশ্মীর, আজমীর, আগ্রা, গোয়া, কন্যাকুমারীর মতো নৈসর্গিক পর্যটন এলাকার টান; চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুর, হায়দ্রাবাদ, ভেলোর, মুম্বাই, দিল্লির চিকিৎসা সেবার প্রতি আস্থা এবং সুলভ কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশিদের আগ্রহের কেন্দ্রেই থাকে ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আগেই জানিয়েছে, সিকিম, লাদাখ, অরুণাচল, মণিপুর, মিজোরামের মতো আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও বাংলাদেশিদের প্রবেশ সহজ হতে চলেছে। কবে নাগাদ তা হবে, সেটা সংবাদমাধ্যমগুলো স্পষ্ট না করলেও বলা হচ্ছে, ওই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও প্রবেশ সহজ হলে ভারতে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ। সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন