বণিকবার্তা : মহাকাশ থেকে দেখতে পাওয়া যায়, মানবসৃষ্ট এমন জিনিসের সংখ্যা হাতে গোনা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল গুজরাটের ১৮২ ফুটের ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’। চীনের প্রাচীর, দুবাইয়ের দ্বীপ ও মিশরের পিরামিডের মতো গুটিকয় স্থাপত্যের মধ্যে চলে এলো ভারতের এই স্ট্যাচুর নামও। সম্প্রতি মহাকাশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্কাই ল্যাবের মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র ছবি তোলে। তারা নিজেদের টুইটারে ছবিটি প্রকাশ করলে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি।
গুজরাটের নর্মদা জেলার সরদার সরোভর বাঁধের সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাধু দ্বীপে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর দেশটির প্রথম সহকারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বল�ভভাই প্যাটেল। তাকে অনেকেই ‘আয়রন ম্যান অব ইন্ডিয়া’ নামে ডাকতেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বল�ভভাই প্যাটেলের অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০১৩ সালে এ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত ৩১ অক্টোবর সর্দার বল�ভভাই প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮২ মিটার বা ৬০০ ফুট উঁচু এ ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তিনি। পয়লা নভেম্বর থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ভাস্কর্যটি। ভারতের গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত ভাস্কর্যটিকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্ট্যাচু অব ইউনিটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য। এর আগে চীনের ১৫৩ মিটার উচ্চতার ‘স্প্রিং ট্যাম্পল বুদ্ধ’ ছিল সর্বোচ্চ উচ্চতার ভাস্কর্য।
৬০ তলা ভবনের সমান উঁচু ভাস্কর্যটি তৈরি করতে ১ হাজার ৭০০ টন ব্রোঞ্জ, ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন স্টিল, ১৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বিশেষ স্টিল বার এবং ২২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার ৯৮৯ কোটি রুপি। ভাস্কর্যটির নিচ থেকে ২৫ মিটার উঁচু বা আটতলার উঁচু সমস্থানে ৪ হাজার ৭৪৭ বর্গমিটার আয়তনের প্রদর্শনী হল ও চলচ্চিত্র কেন্দ্র আছে। এখানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ও বল�ভভাই প্যাটেল বিষয়ক বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রদর্শন করা হবে।