তানজিনা তানিন : বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সকল ঋণখেলাপিদের তালিকা রয়েছে। চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা সকলের নাম প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি প্রকৃতপক্ষেই ঋণখেলাপি প্রার্থীদের সনাক্ত করতে চান তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জরুরি তলবের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এ কাজ সম্পাদন করা সম্ভব। ঋণখেলাপি অজুহাতে অর্থ আত্মসাৎকারী ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বেনামি-ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে। তাদের সনাক্ত করণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতারণা চক্রকে খুঁজে পেতে হলে সকল ব্যাংকের একাত্মতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলের ছায়াতলে থেকেই ঋণ গ্রহণ করে দুষ্কৃতকারীরা। সকল ব্যাংকের সঠিক তথ্য প্রদানে তাদের যোগসাজশ বের করা এক দিনের ব্যাপার।
এক প্রশ্নের জবাবে আনু মুহাম্মদ বলেন, নির্বাচন কমিশনই এখন দেশ পরিচালনার প্রধান দায়িত্বে আছে। অপরাধীদের দ্বারা যদি নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত না হয় এবং নির্বাচন কমিশনের ঋণখেলাপি প্রার্থীদের চিহ্নিত করার সদিচ্ছা থাকে তাহলে, বাংলাদেশ ব্যাংকে তলব করলেই সকল তথ্য পেয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন।