আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য সম্পর্ক কেমন হবে, সে সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন করেছেন ইইউ নেতারা। ইউরোপিয় ইউনিয়ন প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক রোববার টুইটারে এক ঘোষণায় একথা জানান। বিবিসি
ব্রাসেলসে এক ঘন্টার কম সময়ের আলোচনার পর ২৭জন নেতা চুক্তিটি অনুমোদন করেছেন। শনিবার স্পেন জিব্রাল্টারের ব্যাপারে নিজেদের আপত্তি প্রত্যাহারের পরপরই টাস্ক চুক্তিটি অনুমোদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এবার এ চুক্তিটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে। তবে বহু এমপি চুক্তিটির বিরোধিতা করছেন।
দু’পক্ষের ১৮ মাসের আলোচনার পর চুক্তির বিষয়টি সম্পাদনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইউরোপিয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে যুক্তরাজ্য। ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শুরুতে এবিষয়ে ভোটাভুটি হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এর আগে এক চিঠির মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার জনগণকে ব্রেক্সিট চুক্তি সমর্থনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণভোটের সম্মান রক্ষার্থেই এই চুক্তির প্রবল প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।
চুক্তির জন্য ইউরোপের অনুমোদনের পর বাকি দ্বায়িত্ব এখন থেরেসা মে এবং তার কনজারভেটিভ পার্টির। ধারণা করা হচ্ছে তার এমপিরা যদি চুক্তি প্রত্যাখান করেন, তবে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। এক, চুক্তিহীনভাবে ইউরোপ ত্যাগ। দুই, নতুন একটি সাধারণ নির্বাচনে বাধ্য হওয়া। তাই মে’কে তার দলকে এই চুক্তিতে সমর্থন দিতে রাজি করাতেই হবে। নচেৎ তার সরকার পড়ে যেতে পারে। সম্পাদনা : শরিফউদ্দিন আহমেদ