মোহাম্মদ রকিব : ফ্যাশনেবল্ কফিনে কবর দিতে ঘানাবাসীদের আগ্রহের কমতি নেই। শুধু রঙিনই নয়, রয়েছে আকারের ভিন্নতাও। কোনোটা বিমান আকৃতির, কোনোটা গাড়ির। মরিচ আকৃতির কফিনের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। মৃত ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ ও ব্যক্তিত্বের ধরন অনুযায়ী বেছে নেয়া হয় কফিন। বিবিসি জানিয়েছে, কারো কারো জন্য ব্যবহৃত হয় লাল মরিচ আকৃতির কফিন। লাল রঙ মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকাকালে কাউকে পরোয়া করে চলতেন না তা প্রকাশ করে। কোকোয়া উৎপাদনকারী ঘানার গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের দৈনিক আয় তিন ডলারের চেয়ে কম হলেও তারা কফিনের জন্য সাড়া জীবন অর্থ জমিয়ে যান। সাধারণত কফিন ডিজাইনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির পেশাকে বিবেচনায় নেয়া হয়।
ঘানাতে তৈরি এসব কফিন যে শুধু ঘানাতেই বিক্রি হয় তা নয়। অন্তত ২০টি দেশের ক্রেতারা এমন কফিন কিনেছেন ঘানা থেকে। ঘানার কফিন বানানোর এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের মতো দেশের নবীন কাঠমিস্ত্রিদের মধ্যে। এসব দেশ থেকে অনেকে ঘানাতে গেছেন বিষয়টি রপ্ত করার জন্য।