নূর মোহাম্মদ : কোনো আসামি খালাস পেলেও তাকে নির্বাচন করতে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির পাঁচ নেতার সাজার আবেদন খারিজের পর নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অনুযায়ী খালেদা জিয়াসহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর নির্বাচনের পথ আটকে গেল বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। খালেদা জিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুযায়ী উচ্চ আদালত কারো দ- স্থগিত করলে সেটি আর বহাল থাকে না। সেক্ষেত্রে তার নির্বাচনেও কোনো বাধা থাকে না। এর আগে মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দ-িত অবস্থায় আপিল করে নির্বাচন করে মন্ত্রী হয়েছেন। এক দেশেতো দুই আইন হয় না। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইতে তিনি বলেন, উনি মনোনয়ন না পেয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে গেছেন। এখন একটি দলের মনোনয়ন কিনে তিনি দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেল হয়ে গেছেন। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ মুহূর্তে তার পদত্যাগ করা উচিত।
এরশাদ, মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মায়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এরশাদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিলো। আর ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার মামলায় একই ধরনের সাবমিশন রাখা হয়েছিলো কিনা তা আমি বলতে পারবো না। এর আগে কেন এভাবে বলা (শুনানি) হয়নি তা আমি জানিনা।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২ (ঘ) ধারায় বলা আছে কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বৎসরের কারাদ-ে দ-িত হলে এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হলে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। তবে খালাস পেলে কি হবে সে বিষয়ে সংবিধানে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। সম্পাদনা : মাহবুব ও রেজাউল