প্রিয়াংকা : আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০১৯ এবারও হবে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। আর এবারের থিম কান্ট্রি গুয়াতেমালা। বুধবার কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে থিম কান্ট্রির লোগোর উদ্বোধন করেন গুয়াতেমালার রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিয়ো। আজকাল
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি প্রবীরকুমার মজুমদার, অধিকর্তা সুধাংশু দে, সহ–আলোক দে, কোষাধ্যক্ষ রাজু বর্মন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে গিল্ড-সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, ৪৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলার ২ মাস বাকি। ৩০ জানুয়ারি বইমেলা শুরু। সল্টলেকেই হচ্ছে বইমেলা। কাজ চলার জন্য মিলনমেলা থেকে গত বছরই সরিয়ে আনা হয়েছে বইমেলার ঠিকানা।
রাজ্য সরকার, বিধাননগর পুরসভা, পুলিসের সহযোগিতায় ঠিকানা বদল হলেও জমে উঠেছিল মেলা। যাতায়াতের সুবিধের জন্য এবারও থাকবে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ইস্ট-য়েস্ট মেট্রোও চালু হয়ে যাবে। এই প্রথম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় যোগ দিতে আসছে ইরান। যোগাযোগ করা হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গেও। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তা হলে পাকিস্তানের প্রকাশকেরাও অংশ নেবেন। প্রতি বছরের মতো থাকছে বাংলাদেশে, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়া, ভিয়েতনাম ও লাতিন আমেরিকা। ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকেও প্রকাশকেরা যথারীতি থাকবেন। ২০১৯ সাল মহাত্মা গান্ধীর সার্ধ জন্মশততবর্ষ। তাই বইমেলার নানা অনুষ্ঠানে তাকে স্মরণ করা হবে।
গুয়াতেমালার রাষ্ট্রদূত জানালেন, ঐতিহাসিক মায়াসভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রভূমি গুয়াতেমালা। সেখানকার প্রকৃতি, ঐতিহ্য নিয়ে সেজে উঠবে প্যাভিলিয়ন। গুয়াতেমালার ২৪টি স্থানীয় ভাষার সাহিত্য, কবিতার বই থাকবে। এবার বইমেলায় থাকবে ৬০০’র বেশি স্টল। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকছে ২০০টি। ঠিকানা বদলে বই কেনাবেচায় প্রভাব প্রসঙ্গে ত্রিদিববাবুর বক্তব্য, ২০১৭’র মিলনমেলার বিক্রিকে ছাপিয়ে গেছে ২০১৮’র সল্টলেক বইমেলার বিক্রিবাটা। নিরাপত্তার জন্য গিল্ডের তরফে এ বছরও থাকছে আরও আধুনিক মোবাইল অ্যাপ। বইমেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফি’বছরের মতো ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে কলকাতা সাহিত্য উৎসব।