তরিকুল ইসলাম : নেপালের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের মুখপাত্র মোহনা আনসারি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন ও নৃশংসতার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে কথা বলা উচিত নেপাল কর্তৃপক্ষের। ভূ-রাজনৈতিক ফ্যাক্টরগুলোর কারণে মানবাধিকার বিষয়ক ইস্যুগুলোর ওপর প্রভাব পড়া উচিত নয়। এ বিষয়ে অবশ্যই তার নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে নেপাল সরকারকে।
এমন এক সময়ে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন নেপালের প্রতি এ আহ্বান জানালো যখন ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাঠমান্ডুতে হচ্ছে ‘এশিয়া প্যাসিফিক সামিট ২০১৮ নেপাল’। এতে যোগ দিতে এরই মধ্য দেশটিতে গেছেন অং সান সুচি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাইওয়ালি সহ সরকারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শিডিউল রয়েছে সুচির।
মোহনা আনসারি বলেছেন, বর্তমানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদের একটি সদস্য নেপাল। এ জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা আছে। এ ইস্যুটি তুলে ধরা নেপালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর প্রথমবারের মতো ওই পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে নেপাল। বর্তমানে কাঠমান্ডুর কাপান এলাকায় প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন।
একই সময়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক নিরাজন থাপালিয়া বলেছেন, সুচির সামনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরা উচিত নেপাল কর্তৃপক্ষের। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত নেপালের। দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট। সম্পাদনা : হুমায়ুন ও রেজাউল