নূর মোহাম্মদ : গতকাল বৃহস্পতিবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার দ- স্থগিত করে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ। হাইকোর্টের এ রায়ে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
তবে এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ বিএনপির ৫ নেতার সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেন। সে সময় আদালত আদেশে বলেন, আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। গতকাল আদেশের পর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ (১) ধারা এবং সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে সাবিরা সুলতানার সাজা ও দ- স্থগিত করেছেন আদালত। এই আদেশের পর যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা হাইকোর্টে সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাধা নেই। আপিল বিচারাধীন রেখেই নির্বাচন করা যায়। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অনেকের ক্ষেত্রেই এ নজির রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আগে হাইকোর্ট আদেশে কেউ দ- বা সাজা স্থগিতের আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এখন হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ বলেছেন সাজা স্থগিত হলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে তো এটা আগের আরেকটি বেঞ্চের বিপরীতধর্মী আদেশ হলো। এই আদেশের বিরুদ্ধে নিশ্চয় আমরা আপিলে যাবো।
গত ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ ৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন রাবেয়া সুলতানা। আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর এ মামলায় গত ৬ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে একাদশ নির্বাচনে অংশ নিতে সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন জানালে তা শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সম্পাদনা : হুমায়ুন খোকন, ইকবাল খান