সোহেল রহমান : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রাধিকারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (জিএম), উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও সহকারী মহা-ব্যবস্থাপকদের (এজিএম) ব্যবহারের জন্য গাড়ি কিনতে সুদমুক্ত ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গাড়ি ঋণ প্রদান সংক্রান্ত সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১১ সালে। বিদ্যমান নীতিমালায় কী কী পরিবর্তন আনা হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে জমা দিতে হবে। প্রস্তাব পর্যালোচনাপূর্বক আগামী জানুয়ারি মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করবে।
জানা যায়, সংশোধিত নীতিমালায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হতে পারে। বর্তমানে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যাংকের জিএম পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মাসে ৪০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এটি বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা দেয়া হতে পারে। এছাড়া বিদ্যমান নীতিমালায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চাকরির মেয়াদকালে দুই দফা ঋণ নিতে পারেন। নতুন নীতিমালায় সেটা কমিয়ে একবার করা হতে পারে। গাড়ি ঋণের অর্থ সর্বোচ্চ ১২০টি সমান কিস্তিতে অর্থাৎ ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঋণ নেয়ার পর প্রতি মাসের বেতন থেকে সরকার কিস্তির টাকা কেটে রাখবে। চাকরির মেয়াদকালে সব টাকা আদায় না হলে কর্মকর্তাদের গ্রাচ্যুইটি বা পেনশন থেকে অবশিষ্ট টাকা কেটে রাখা হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক নিজেদের বোর্ড সভায় গাড়ি ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন দিতে পারবে। কিন্তু বিশেষায়িত ব্যাংক ও সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। প্রসঙ্গত, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৯টি জিএম পদ থাকলেও বর্তমানে এগুলোতে কর্মরতত আছেন ৩১ জন। আর জিএম ও এজিএম পদে আছেন মোট ৯০ জন। সম্পাদনা : হুমায়ুর কবির খোকন ও প্রিয়াংকা আচার্য্য