শ.ম.গফুর,উখিয়া (কক্সবাজার) : ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে এখন ৭৫ শতাংশ পরিবারে শীতকালীন ও বারমাসি শাক-সবজি উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করে অনেক অস্বচ্ছল পরিবারে এসেছে স্বচ্ছলতা। রোহিঙ্গা আসার কারণে সবজি চাষাবাদ বাড়লেও দাম কমেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাক-সবজি দিয়ে ব্যবসা চলবে না। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি সরবরাহ এনে মজুদ রাখা হয়। সবজি চাষিরা বলছেন, বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় চলতি মৌসুমে শাক-সবজির বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বাজারে শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সরেজমিনে উখিয়া সদর দারোগা বাজার,পালংখালী,থাইংখালী,বালুখালী, মরিচ্যা, রুমখা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার সমুহে শাক-সবজিতে ভরা। দাম জানতে চাওয়া হলে বিক্রেতারা জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার একটু চড়া।
এ অবস্থার কারণ সম্পর্কে সবজি বিক্রেতা শামশুল আলম, ছৈয়দ নূর,কালু মিয়া,নুরুজ্জামানসহ অনেক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ৮ লাখ রোহিঙ্গার বাড়তি চাহিদার কারণে আড়ৎদাররা সবজির দাম আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাদেরকে শাক-সবজির দাম বাড়িয়ে নিতে হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ী জহির আহমদ জানান, একমাত্র মুলা ছাড়া প্রতিটি সবজির দাম বেশি। এখানে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা ধরে। ফুলকপি ৬০- ৮০ টাকা,বাঁধা কপি৫০- ৬০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মুলা শাক, লাল শাক, পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। যা নিম্নবিত্তের পরিবারের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বললে চলে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান জানান, রোহিঙ্গাদের বাড়তি চাপের কারণে শাক-সবজির দাম আগের তুলনায় দাম বেড়েছে। তবে উৎপাদন ক্ষেত্রে বিগত সময়ের সাড়ে ৪শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ করা হলেও বর্তমানে কৃষি জমি, বাড়ি ভিটা ও পরিত্যক্ত জমি সহ প্রায় হাজারেরও অধিক জমিতে শাক সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গাসহ জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে শাক-সবজি আবাদ বৃদ্ধি করার জন্য স্থানীয় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। শাক-সবজি চাষাবাদের বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ ও নিয়মিত তদারকি করার কারণে শাক-সবজি চাষাবাদ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান