আবু বকর : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাস ২৩ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৬০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবে আকামা নবায়ন ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার টাকা করায় চলতি নভেম্বর মাসে সেখান থেকে রেমিটেন্স প্রবাহে ভাটা পড়েছে। তারপরেও ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট প্রায় ১০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ কোটি ডলার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছিলেন। তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশে ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিলো। এই হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার। মাস শেষে পরিমাণ আরো কিছুটা বাড়বে।
মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও রেমিটেন্সে তেজিভাব অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৫১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে আসে ১২৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার। আর চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত এসেছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিটেন্সে ভালো প্রবৃদ্ধি হলেও তা আগস্টে থাকেনি। সেপ্টেম্বরে আবার ভালো প্রবৃদ্ধি হয়। বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মত। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব