আসিফুজ্জামান পৃথিল : আর্জেন্টিনায় চলমান জি-২০ সম্মেলনে স্বাক্ষর হতে পারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি। এ চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধ। এদিকে এই চুক্তি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই চুক্তিতে খুব একটা খুশি হবেন না। তবে চুক্তি হবে। আর চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই পরিস্কার মনে করতে হবে। সিএনএন, রয়টার্স, ইয়ন নিউজ
নিশ্চিতভাবেই এবারের জি-২০ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শি জিং পিং বৈঠক হচ্ছে। এই বৈঠকেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির খসড়া তৈরীর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তিনি এই চুক্তিতে খুব একটা খুশি হবেন না। তিনি বলেন ‘খুব শীঘ্রই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি হতে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি এতে খুশি নই। শুল্কারোপের কারণে মার্কিন অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। অর্থনীতির জ¦ালানী হলো কর। শুল্কারোপের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কর সংগ্রহ করতে পারছে। চীন বাণিজ্য চুক্তি চায় এবং আমিও চাই কিন্তু তা হতে হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটেই।’
এদিকে চীন জানিয়েছে, তারাও চুক্তি চায়। কিন্তু সেই চুক্তি করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের মন পরিস্কার করতে হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেশটি বলেছে, ‘ওয়াশিংটনের মতো বেইজিং-ও একটি চুক্তি চায়। যেকোন চুক্তির ব্যাপারে আমরা ওয়াশিংটনকে সহায়তা করবো, যদি তারা তা পরিস্কার মনে করে। যদি এরমধ্যে চীনের অর্থনীতিকে রুদ্ধ করে দেওয়ার মতো কোন অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে তবে অবশ্যই চুক্তি হতে পারে।’
এদিকে বুয়েনস আয়ারস এ পৌঁছেই বিশ^নেতারা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু করেছেন। সেসব বৈঠকে হচ্ছে অর্থনৈতিক সহায়তার আলোচনাও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাইডলানে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর মোদি জানিয়েছেন তারা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জ¦ালানী বিষয়ক বন্ধন দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে ক্রিমিয়াকে কেন্দ্র করে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পুতিনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় এ কথা জানান।
পুতিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক বাতিল হওয়ায়, পুতিন আরো ‘জরুরী’ বৈঠকের জন্য বেশি সময় পাবেন। শুক্রবার সকালে বুয়েনস আয়ারসে পৌছান পুতিন।
এদিকে জি-২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে ইউরোপের অধিকাংশ পুঁজিবাজারে। শুক্রবার লন্ডন, প্যারিস এবং ফ্রাঙ্কফুটের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতায় শুরু হয়েছে লেনদেন। এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে কিছুটা কমেছে তেলের দরও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা বিনিয়োগকারীরা সকল বাজারেই বিনিয়োগ আটকে রেখেছেন। তারা সম্মেলনের ফল দেখে এরপর বিনিয়োগ করতে চান। সম্পাদনা : ইকবাল খান