সাইদ রিপন : চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বহির্ভুত প্রকল্প হিসেবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি গ্রহণ করার সময়ও এর জন্য পর্যপ্ত অর্থের সংস্থান ছিলো না। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে চলতি অর্থবছরেই এর জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রকল্পটি এডিপি বহির্ভুত হওয়ায় এতো টাকা এককালীন দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলো পরিকল্পনা কমিশন।
অনেক আলোচনার পর প্রকল্পটির জন্য ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অল্প আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এবং প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কার্যক্রম আপাতত শুরু করতেই এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা সূত্র জানায়, দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচন ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অর্থাৎ দেড় লাখ ইভিএম মেশিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে প্রকল্পটি হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবলের জন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য ভোটারদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম ছিল এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। প্রকল্পের আওতায় চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) ধীর গতির প্রকল্প থেকে বরাদ্দ কেটে পুনঃউপযোজনের মাধ্যমে ইভিএম প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন। সেটিও সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কাছে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেহেতু কয়েকটি আসনে মাত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তাই এই অল্প বরাদ্দে কোনো সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সম্পাদনা: আনিস তপন