মোহাম্মদ রকিব : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দেশে আসছে। ‘হংসবলাকা’ নামের এই আকাশযান আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করবে। বাংলা ট্রিবিউন
যুক্তরাষ্ট্রে সিয়াটলের এভারেটে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং গতকাল সকালে চাবি দিয়ে হংসবলাকার মালিকানা হস্তান্তর করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল এটি বুঝে নেন। এ সময় ছিলেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কনট্রাক) জন বর্বার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া) এহসান রাজপুত।
দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার বুঝে পেতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ৩২ জন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এর মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ সচিবালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও অর্থায়নকারী ব্যাংকের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা বিমান চালিয়ে হংসবালাকা নিয়ে আসবেন বিমানের ৪ পাইলট। তারা হলেন স্মল স্কি, মো. আমিনুল, শোয়েব চৌধুরী ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা রহমান। ফ্লাইট পার্সার শবনম কাদিরসহ এতে থাকবেন ৫ জন কেবিন ক্রু।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বিমান। বাকি ৪টি হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি গত ১৯ আগস্ট দেশে আসে। ৪টি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো ‘আকাশবীণা’, ‘হংসবলাকা’, ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’।
ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা রয়েছে মোট ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীদের জন্য আরামদায়কভাবে বিশ্রামের জন্য সহায়ক।