আক্তারুজ্জামান : মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে অনন্য নজির দেখিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিকভাবে চৌদ্দতম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্রিজে নামা এগারো ব্যাটসম্যানের সবাই ‘ডাবল ফিগারে’র রান করেছেন। যা সত্যিই বিস্ময়কর!
ওপেনিং থেকে শুরু করে টেলএন্ডার পর্যন্ত সবাই ব্যক্তিগতভাবে দুই অঙ্কের রানে ফিরেছেন। ক্যারিবীয় বোলাররা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানকে ১০ রানের আগে ফেরাতে পারেননি। বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চৌদ্দতম বারের মতো এই ঘটনা ঘটলো। আর বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম এ ঘটনা ঘটলো।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে ১৮৯৪ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সবগুলো ব্যাটসম্যান ‘দুই অঙ্কের’ রান করেছিলেন। সর্বমোট তেরোবার এই ‘দুই অঙ্কের’ ফিগার দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। যার মধ্যে সবচে বেশি চারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে ভারতের ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটররা তিনবার করে ‘দুই অঙ্কের’ কোটায় পূরণ করেছে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া দুইবার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা একবার করে ‘ডাবল ফিগার’র স্কোর গড়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র ষষ্ট দেশ হিসাবে এই কীর্তি গড়লো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও এই বিরল কীর্তি গড়লো। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ছাড়া আরও যে সকল টেস্ট খেলুড়ে দেশ আছে তারা এখনও পর্যন্ত এই কীর্তি গড়তে পারেনি।
শুধু তাই নয়, ব্যাটিং শেষ হওয়ার পর বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দল ছুঁয়েছে ১২৮ বছরের আরেকটি রেকর্ড। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় পাঁচ ব্যাটসম্যান। আশ্চর্যের বিষয় হলো পাঁচজনই ফিরে গেছেন বোল্ড আউটের শিকার হয়ে।
সাকিবের প্রথম ওভারেই ফিরে যান ব্রেথওয়েট, এরপর মিরাজ বোলিঙয়ে আসলে তার শিকারে ফেরেন পাওয়েল। সুনীল আমব্রিসও ফিরে যান সাকিবের ঘূর্ণিতে। এরপর শাই হোপ ও রস্টোন চেজ ফেরেন মিরাজের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ জনই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার ঘটনা মাত্র দুইবার ঘটেছিল। গতকালের ঘটনা মাত্র তৃতীয়বারের মতো। আর সর্বশেষ এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ১২৮ বছর আগে।