সোহেল রহমান : নির্বাচনী অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ব্যবহারের হার। তবে এডিপি-তে সরকারি ব্যয়ের হার বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট এডিপি’র আকার হচ্ছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে গত জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরে একই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
জানা যায়, এডিপি বাস্তবায়নের গতি শ্লথ হওয়ায় আলোচ্য সময়ে বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি এবং গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭৫০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে ব্যয়ের পরিমাণ হচ্ছে ১০৪ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ বৈদেশিক ঋণ সহায়তার মাত্র ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এডিপি বাস্তবায়নের গতি শ্লথ হলেও অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে তা গতি পাবে এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে বলে সরকার আশাবাদী। এক্ষেত্রে পাইপ লাইনে থাকা বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। গত অক্টোবর শেষে পাইপ লাইনে থাকা অব্যবহৃত বৈদেশিক ঋণ সহায়তার পরিমাণ ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যায়। গত জুনে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪৫১ কোটি ডলার।
গত জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়ন এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ব্যবহারের হার কমলেও এ খাতে সরকারি ব্যয়ের হার বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে সরকারি ব্যয়ের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই হার ছিল ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।