বিশ্বজিৎ দত্ত : কর খেলাপীরা এবারের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে মনোনয়ন পত্রে অবশ্যই কর সনাক্ত নম্বর( টিন) যুক্ত করতে হবে। এই টিন নাম্বারের সঙ্গে আয়কর রিটার্নের কোন সম্পর্ক নেই। তবে রাজস্ব বোর্ডের ৩ সদস্যের একটি দল নির্বাচন মনোয়ন পত্রের সঙ্গে দেয়া সম্পদ বিবরণি পর্যবেক্ষণ করছে।এই সম্পদ বিবরণির সঙ্গে আয়কর রিটার্ন ফর্মের বিরনির সম্পর্ক খতিয়ে দেখাই হবে এই কমিটির প্রধান কাজ বলে জানিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের একজন সদস্য।
রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়,এবছর ৩ হাজার ৫৬ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় সবাই আয়কর প্রদান করেন। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় রিটর্ন জমা দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রার্থীদের নির্বাচনি হলফনামার হিসাব বিভিন্ন কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। তারা এ বছরের আয়কর রিটার্নের সঙ্গে এই হলফ নামার বিষয়টি মিলিয়ে দেখবেন। এ বিষয়ে অমিল পাওয়া গেলে তাদের রিটার্ন অডিটে পাঠানো হবে। প্রার্থীরা শুধু তাদের সম্পদের হিসাব দেননি। তাদের পোষ্যদের সম্পদের হিসাবও দিতে হযেছে। সেই পোষ্যরা যদি সম্পদের অধিকারী হন তাকেও আমরা তদন্ত করবো। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেল(সি আইসি) তদন্ত করতে পারে।
সম্পদের উপর করারোপের বিষয়ে রাজস্ব বোর্ড সদস্য কানন কুমার জানান, যাদের সিটি কের্পারেশন এলাকায় ৮ হাজার বর্গফুটের গৃহসম্পত্তি বা নিজ নামে ২টি গাড়ি রয়েছে তাদের উপর সারচার্জ প্রয়োজ্য রয়েছে। এর বাইরে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নীট সম্পদে সারচার্জ শূণ্য। এর উপরে আবার ৫ কোটি টাকার উপরে নয় এমন সম্পদে শতকরা ১০ হারে সারচার্জ রযেছে। ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ। ১৫ কোটি টাকার উপরে ২০শতাংশ। ২০ কোটি টাকার উপরে ২৫ শতাংশ। ২০ কোটি টাকার উপরের সম্পদে ৩০শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে।
এপর্যন্ত কয়জনকে সনাক্ত করতে পারছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, একনো সনাক্ত হয়নি। তথ্য সনাক্ত করা হচ্ছে। এটি এনবিআরের নিয়মিত কাজ বলে তিনি জানান।