রমজান আলী : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে নি¤œগামী হলেও বাংলাদেশের কোন প্রভাব পড়বে না যদি জাতীয় উৎপাদনে কোন প্রকার বিরূপ প্রভাব না পড়ে। আর জাতীয় নিবার্চনে যদি বড় ধরনের কোন সহিংসতা না হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আমরা অনেক এগিয়ে বেড়েছি। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাণিজ্য মন্দার প্রভাব থাকলেও আমাদের কোন ক্ষতি হবে এমন কোন লক্ষণও দেখছি না। বিশ্ববাণিজ্য মন্দ্রার যেসব দেশগুলো রয়েছে তাতে আমাদের তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় সব সূচক নিম্নগামী হওয়ায় বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার আশঙ্কা করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডঞঙ)। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড আউটলুক ট্রেন্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-আগস্ট) বিশ্ববাণিজ্যের গতিধারা বিশ্লেষণ করে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় সবকয়টি সূচকে অবনতি হয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বাণিজ্যের গতি আরো কমে আসবে। গেলো সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত পূর্বাভাস প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, চলতি বছর (২০১৮) শেষ নাগাদ বিশ্ববাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ নেমে আসবে, যা আগামী বছর (২০১৯) আরো কমে ৩ দশমকি ৭ ভাগ হতে পারে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, মুদ্রামানে অস্থিরতাসহ উন্নত বিশ্বে সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি, চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
উল্লখ্য, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম চার মাস অর্থাত্ জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ২১৩ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ডলার।