নিজস্ব প্রতিবেদক : মিরপুর টেস্টে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুরন্ত বাংলাদেশ। দুই বিভাগেই ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ব্যাটসম্যানরা শুরুতে যেমন নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছেন, বোলাররা শেষটা করেছেন অসাধারণ ভঙ্গিমায়। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথায় জানিয়েছেন শতক হাঁকানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ধৈর্য পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাশ করেছে বলে মনে করছেন তিনি। বাউন্ডারি হাঁকানোর চিন্তা না করে এক-দুই রানে দলের খাতায় যোগ করেছে ৫০৮ রান, যা উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ।
বিশেষ করে অভিষেক হওয়া সাদমান ইসলামের ব্যাটিং মন জয় করে নিয়েছে রিয়াদের। টেস্ট মেজাজে ১৯৯ বলে ৭৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে তিনি একা নন বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই শুরুটা ভালো করেছিলেন বলে মনে করছেন রিয়াদ। এরপর অধিনায়ক সাকিবের ইনিংসটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন সহঅধিনায়ক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফর্মেন্সে মুগ্ধ রিয়াদ। ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আপনি যদি আমাদের স্কোরকার্ড দেখেন, সবাই ডাবল ফিগারে গিয়েছে। আমার ইনিংসটা একটু বড় হয়েছে, সাকিবের ইনিংসটা বড় হয়েছে। সাদমান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আর সবার শুরুটাই ভালো ছিল। তারপরও আমি বলবো, উইকেট অতটা সহজ ছিল না, অনেক ধৈর্য নিয়েই খেলতে হয়েছে।’ মিরপুরে দলকে নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে বলেন রিয়াদ। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ আরো বলেন, ‘আপনি দেখেন, বাউন্ডারি বেশ বড় থাকায় চার বের হয়নি, আপনাকে খালি জায়গা দেখে জোরে শট করতে হবে, যেটা কঠিন ছিল। ওই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর সবাই অনেক ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করেছে। সাকিবের পাশাপাশি সাদমানের ইনিংসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাদমান সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। ওকে দেখে বোঝা যায়নি ও প্রথম ম্যাচ খেলছে, মানে খুবই গোছানো ছিল।’ ব্যাটসম্যানদের কাজ শেষ হওয়ার পর দুর্দান্ত বোলিং বোলারদের আরও আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। রেকর্ড গড়া বোলিংয়ের পর রিয়াদ বলেন, ‘আর যদি বোলিংয়ের দিক বলি, আমার মনে হয় আমরা ভালো জায়গায় বল করেছি আজ। সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আমরা চেয়েছিলাম দুই তিনটা উইকেট নিয়ে এগিয়ে যেতে। এখানে আধা ঘণ্টায় আজ পাঁচটা উইকেট পড়েছে। এই বিষয়টা আমাদের বেশ আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।’