কীর্তি গড়লেন মিরাজ
এল আর বাদল : এক টেস্ট খেলে বেশকটি গল্প রচনা করলেন এই সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট সেনসেশন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে এ গল্প মিরপুর মাঠে মিরাজের এই প্রথম। অফ স্পিনার মিরাজ ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইতিহাস গড়লেন।
এখানেই শেষ নয়, মিরাজ তার স্পিন বিষে ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের মিছিলে সামিল করেন। তার কারণেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টেস্টে কোনো দলকে ফলোঅন করানোর স্বাদ পেলো। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে ছিলো না সফরকারীরা। এখানেও মিরাজ যন্ত্রণা। পাশাপাশি সাকিবও জ্বালিয়েছেন ক্যারিবীয়ানদের। এই ইনিংসে মিরাজ তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট আর সাকিবের শিকার ৩টি।
আগের দিন মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ এই ইনিংসে একাই নেন ৭ উইকেট।
এক ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার মিরাজের এবারই প্রথম। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংটি ঠাঁই পেল ইতিহাসেও। ২০১৬ সালে নিজের দ্বিতীয় টেস্টেই ৭৭ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। এতদিন পর্যন্ত এটাই ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে ৭ উইকেট নেওার কৃতিত্ব দেখান তিন বোলার। তবে তারা ৩ জনই ছিলেন বা-হাতি স্পিনার। এনামুল হক জুনিয়র, সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম এই কৃতিত্ব দেখিয়ে ছিলেন। মিরাজ এই তালিকায় নিজের নাম লেখালেন, প্রথম বাংলাদেশি অফ স্পিনার হিসেবে।
গত শনিবার বাংলাদেশ নিজের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দলটি। মিরাজ একাই নেন ৩ উইকেট। গতকাল রোববার আরো ৪ উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস।
মিরাজের বোলিং স্পেল ১৬-১-৫৮-৭। বাংলাদেশের মাটিতে যে কোনো অফ স্পিনারেরই এটি সেরা বোলিং ফিগার। আগের সেরা ছিল নাথান লায়নের। গেল বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব