নূর মোহাম্মদ : বিভিন্ন কারণে অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে আপিল করার কথা জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী। যাদের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিল করতে পারবেন আজ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি হবে। সেক্ষেত্রে তখন কারও আপিল গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করার সুযোগ পাবেন প্রার্থী।
টেলিফোন বিল বিল বকেয়া ও ঋণ খেলাপির অভিযোগে ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে কেয়া চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার কারণে। এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ঋণখেলাপির কারণে। তবে আপিল করার কথা জানিয়েছেন তারা দুজনেই।
চট্টগ্রামে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। আপিল করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকারের মনোনয়নপত্র। ইমরান এইচ সরকার জানান, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটারের স্বাক্ষরের ক্রমিক নম্বর ভুলের কথা বলে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এখন তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।
ঋণ খেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ভোটারদের জাল স্বাক্ষর দেওয়ায় অভিযোগে। তারা দুজনেই আপিল করবেন বলে জানা গেছে।