![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
সুচি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে চীন
সাউথএশিয়ান মনিটর : জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবে পশ্চিমা দেশগুলো যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে, চীন তখন মিয়ানমারের আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করছে এবং সেখানে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করেছে। বেইজিং-ভিত্তিক ওয়ানবাও মাইনিং লিমিটেডের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ইয়াং সে কপার লিমিটেড বর্তমানে মিয়ানমারের মধ্যস্থলের মান্ডালে শহরের পশ্চিমের মোনিওয়ার ১০০,০০০ একর বিস্তীর্ণ এলাকায় কপার উত্তোলনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুমতির আবেদন করেছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না নর্থ ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশান, বা নোরিনকো’র অধীনস্থ ওয়ানবাও গ্যাবন এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে খনি উত্তোলনের কাজ করছে। ২০১০ সাল থেকে মিয়ানমারেও তারা কাজ করে আসছে। মিয়ানমারে তাদের কার্যক্রম লেতপাদাউং খনি এলাকায় সীমাবদ্ধ। এখানে তাদের কার্যক্রম খুবই বিভেদ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা উসকে দিয়েছে। স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং এমনকি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যেও চীন-পন্থী এবং চীন-বিদ্বেষী গ্রুপ গড়ে উঠেছে। ওয়ানবাওয়ের নতুন অনুসন্ধানী তৎপরতা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’কে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। কারণ তার আধা-গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে যে, পশ্চিমা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিপরীতে চীনা স্বার্থকে বেশি মাত্রায় প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। লেতপাদাউংয়ে চীনা কোম্পানিটি আগে যে খনন কাজ করেছিলো, সেটা ছিল একটা যৌথ প্রচেষ্টা। তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন ইউনিয়ন অব মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস। প্রকল্পটিতে বিক্ষোভ দেখা দিলে নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করে।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও বৌদ্ধ ভীক্ষুরা সেখানে এখনও আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত বহন করছে।
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)