তথ্যপ্রযুক্তিতে আউটসোর্সিং : অপার সম্ভাবনা
শ্যামসুন্দর সিকদার : বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নতুন নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ‘আউটসোর্সিং’ প্রবণতা বাংলাদেশে এতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে, সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকেরা এই পেশায় আসছে। ফলে বাংলাদেশকে এক নতুন ব্র্যান্ডে রূপান্তর করছে। সন্দেহ নেই যে, আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বেকারত্বের সমস্যা ঘুচাবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাবে।
একুশ শতকের প্রথম দিকে ‘আউটসোর্সিং’ জনপ্রিয় হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্রে।‘আউটসোর্সিং’ মানে নিজ সংস্থার বাইরের কোনো পক্ষকে চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করতে নিযুক্ত করা। সংস্থার খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে কোনো বিশেষ কাজের জন্য স্থায়ীভাবে জনবল না রেখে আউটসোর্স করা হয় । সম্প্রতি আউসোর্সিং কেবল খরচ হ্রাসের জন্য নয়, গুণমান সম্পন্ন কাজ সম্পাদন করার জন্যও করা হয়। বিশ্বব্যাপী দক্ষতার সাথেই এখন আউটসোর্সিং করা হয়। এখন তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিষেবার জন্য অন্যান্য শিল্পগুলির মধ্যে আউটসোর্সিং আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
একুশ শতকের প্রথম দিকে মানুষ আউটসোর্সিংয়ের জন্য অনলাইন প্রযুক্তি (ইন্টারনেট) ব্যবহার শুরু করলে দক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। ‘আউটসোর্স ডেলিভারি’ প্রদানের উপায় হিসাবে তারা অনলাইন আউটসোর্সিং ব্যবহার করতে শুরু করে। এটি ফ্রিল্যান্সিং নামেও পরিচিত এবং এতে কাজ করে এমন লোকেরা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে পরিচিত। অনলাইন আউটসোর্সিং নিয়োগকর্তা নিজস্ব জনবল নিয়োগ এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ ঝামেলা এড়িয়ে দক্ষতার সাথে সংস্থার সক্ষমতার সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন। অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মূলধন এবং অপারেটিং ব্যয় কমাতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানী অনলাইন আউটসোর্সিং কাজে জড়িত হচ্ছে। ডেটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়্যার ডিজাইন, এবং ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইনিং, মাল্টিমিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এর মতো আইটি সম্পর্কিত কাজগুলি বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন আউটসোর্সিং কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে এখন আউটসোর্সিং জ্ঞান প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিশেষত ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেসরকারি আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। এখন আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণের মান ও ব্যপ্তি উন্নত করা হয়েছে। কিছু আউটসোর্সিং কাজে খুব ভাল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসব প্রশিক্ষণে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (এসএমএম), ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অ্যাফিলিয়েট বিপণনের বিভিন্ন ধরণের কাজ শেখানোর ব্যবস্থা আছে। আন্তর্জাতিক আউটসোর্সিং বাজারে কাজ করতে পারেন এমন সফল ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে এই প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিভাবে বাড়িতে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে হয় কিংবা ক্রেতার সাথে পেমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদির জন্য যোগাযোগ কিভাবে করা হয় – এসব শেখানো হয়। ঢাকায় আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে ওডেস্ক চাকরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে। ওডেস্ক হলো পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন কর্মস্থল।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে, বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তিরা তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভা দিয়ে সমাজ ও দেশে অবদান রাখছে। প্রবন্ধকার ইব্রাহিম হোসেন অভি এর ২০১৭ সালে রচিত ঋৎববষধহপবৎং ঃঁৎহ ইধহমষধফবংয রহঃড় ধ যঁন ভড়ৎ ওঈঞ ড়ঁঃংড়ঁৎপরহম লেখাটির কিছু অংশ এখানে উদ্ধৃত করছি:
অপপড়ৎফরহম ঃড় ঙীভড়ৎফ ওহঃবৎহবঃ ওহংঃরঃঁঃব (ঙওও) ড়ভ ঙীভড়ৎফ টহরাবৎংরঃু রহ ঃযব টক, ইধহমষধফবংয হড়ি পড়হঃৎরনঁঃবং ১৬.৮% ড়ভ ধষষ ড়ঁঃংড়ঁৎপবফ ড়হষরহব ড়িৎশবৎং রহ ঃযব ড়িৎষফ, ধ ৎধঃব যিরপয রং ংবপড়হফ ড়হষু ঃড় ওহফরধ ড়হ ২৪.৬%. ঙভ ঃযব ইধহমষধফবংযর ড়ঁঃংড়ঁৎপরহম ড়িৎশবৎং, ২২% ড়িৎশ রহ ংড়ভঃধিৎব ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ধহফ ঃবপযহড়ষড়মু, ৎবঢ়ৎবংবহঃরহম ৩.৭% ড়ভ ধষষ ড়হষরহব ভৎববষধহপবৎং রহ ঃযব ড়িৎষফ. ঞযব সধলড়ৎরঃু (ধনড়ঁঃ ৪০%, ড়ৎ ৬.৮% ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ ঃড়ঃধষ) ড়িৎশ রহ ংধষবং ধহফ সধৎশবঃরহম ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ. অনড়ঁঃ ধ য়ঁধৎঃবৎ ড়িৎশ রহ পৎবধঃরাব সঁষঃরসবফরধ (৪.২% রহ ঃযব মষড়নধষ পড়হঃবীঃ). ঝরসরষধৎষু, ধনড়ঁঃ ৩% ড়িৎশ রহ ৎিরঃরহম ধহফ ঃৎধহংষধঃরড়হ, ৭% রহ পষবৎরপধষ ধহফ ফধঃধ বহঃৎু ধহফ ২% রহ ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ ংবৎারপবং (ৎবঢ়ৎবংবহঃরহম ০.৫%, ১.৩% ধহফ ০.৪% ড়ভ ধষষ ভৎববষধহপবৎং ড়হ ঃযব বিন).
অপপড়ৎফরহম ঃড় ঃযব ওঈঞ উরারংরড়হ, ঃযবৎব ধৎব ৬৫০,০০০ ৎবমরংঃবৎবফ ভৎববষধহপবৎং ধহফ ধনড়ঁঃ ৫০০,০০০ ধৎব ড়িৎশরহম ৎবমঁষধৎষু, সধশরহম $১০০ সরষষরড়হ ধহহঁধষষু [ গধযসঁফ ঐড়ংংধরহ ঙঢ়ঁ/উযধশধ ঞৎরনঁহব].
বাংলাদেশে নারীর বেকারত্বের পিছনে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো – অপ্রয়োজনীয় কঠোর পরিবেশ, বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সমস্যা, পারিবারিক সহায়তার অভাব, রাস্তায় চলাচলে নিরাপত্তার অভাব ইত্যাদি। এই বিষয়ে, কখনও কখনও মহিলারা বাইরে কাজ করার জন্য তাদের পরিবারের কাছ থেকে সমর্থন পায় না। আবার নারীরা সাধারণত তাদের পুরুষ সহকর্মীদের চেয়ে একই পরিমাণ কাজের জন্য কম অর্থ পায়।
বাংলাদেশে নারীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সুযোগ বাড়িয়ে অনেক বেকার সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বাংলাদেশে নারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ হতে পারে। এইভাবে তারা তাদের পরিবার পরিচালনা এবং তাদের কর্মজীবন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। ইতোমধ্যেই অনেক নারী এই পেশায় এসে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। [ ঝযধৎসরহ কযঁৎংযরফ, ঙঁঃংড়ঁৎপরহম রহ ইধহমষধফবংয,২০১৭]
বাংলাদেশে নারীর জন্য আউটসোর্সিং কাজ করার সুবিধাগুলো হলো : ঘর বসে কাজ করার সুযোগ, কাজের ঘন্টা এবং সময় নির্বাচন করার স্বাধীনতা আছে, কোন লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয় না, কাজের বৈচিত্র্য থাকায় দক্ষতা অনুযায়ী কাজ নির্বাচনের সুযোগ বিদ্যমান, শিক্ষার সুযোগ, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সুযোগ, মেধাভিত্তিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সম্ভাবনা, বিশাল আয়ের ভাল উৎস ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং কর্মজীবনে নারীকে উৎসাহিত করছে।
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের আওতায় ২০১৪ সালে “বাড়ি বসে বড়লোক” শিরোনামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৯০০০ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবার “লার্নিং আর্নিং” শিরোনামে একটি প্রকল্প নিয়ে ৫৫০০০ কর্মীকে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কসহ দেশের কিছু বিশিষ্ট নারী ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশে নারী ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে কাজ করেছে। ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার, এল্যান্সসহ বিশ্ব বিখ্যাত আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস এই ধারণা প্রচারণার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নারী ফ্রিল্যান্সিংকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৪ সালে থেকে ইঅঝওঝ হতে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
অঞ কবধৎহবু এষড়নধষ আউটসোর্সিং সফ্টওয়্যার এবং আইটি-সক্ষম পরিষেবাগুলির জন্য সেরা হিসাবে বিশ্বের ৫১ টি দেশকে চিহ্নিত করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইটি কাজের আউটসোর্সিংয়ের জন্য সেরা স্থানগুলির মধ্যে বাংলাদেশকে চিহ্নিত করেছে। ভারত, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের ৫১ টি দেশের মধ্যে ‘আর্থিক আকর্ষণীয়তা’ সম্পর্কিত শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সূচকটিতে বাংলাদেশ ২৬তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে, ভারত প্রথম স্থান অর্জন করেছে, পাকিস্তান ২৫ তম স্থানে, যুক্তরাজ্য ২৭তম,
কানাডা ৩৭ তম; অস্ট্রেলিয়া ৪২ তম এবং আয়ারল্যান্ড সর্বনিম্ন অবস্থান পেয়েছে।
তবে ওডেস্কের শীর্ষ দশের তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে উঠেছে। এটি এখন দুই দেশের পিছনে, ফিলিপাইন এবং ভারত। [ ঝযধৎসরহ কযঁৎংযরফ, ঙঁঃংড়ঁৎপরহম রহ ইধহমষধফবংয,২০১৭]
২০১৩ সালে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং সেক্টর থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করেছে।
ডেইলী স্টার ১৭ নভেম্বর, ২০১৭ তে প্রকাশিত ওঈঞ বীঢ়ড়ৎঃ ভবঃপযবং $৮০০স রহ ২০১৭ শিরোনামে সংবাদ হতে
দেখা যায়, ওই বছর সফটওয়ার রপ্তানীর আয় ছিল ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার এবং আউটসোর্সিং আয় ছিল ১৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার । সুতরাং আউটসোর্সিং খাত হতে বাংলাদেশের আয় খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ – এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। চাকরির প্রচলিত বাজার সংকুচিত হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। এমন প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ২০ হাজার প্রশিক্ষিত ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে বছরে এ খাত থেকে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২ শ কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
[যঃঃঢ়ং://িি.িংধ.ঃা ,জাতীয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭]
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি, ৯ শতাংশ। আর ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম তরুণ-তরুণীর ১০ শতাংশের বেশি বেকার।
অথচ, ১৫ কোটিরও বেশি মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর দেশ, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৯ কোটিরও বেশি। এই সুযোগকে ব্যবহার করে ই-গভর্নেন্স, ই-এডুকেশন, ই-কমার্স থেকে শুরু করে অনলাইনে বিভিন্ন শাখায় ব্যবসার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স বা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরী করতে পারলে বাংলাদেশের আয় হবে হাজার কোটি ডলার।
এরই মধ্যে দেশের সাতটি বিভাগকে ই-জোন ঘোষণা করে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ শুরু করেছে সরকার। তবে প্রযুক্তিবিদদের মতে, ফ্রিল্যান্স পেশায় সফল হতে হলে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেকে তুলে ধরার মত কাজ জানার পাশাপাশি দক্ষতা তৈরি করতে হবে ইংরেজিতে যোগাযোগের।
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের জন্য কিছু ইতিবাচক কারণ রয়েছে । সেই কারণগুলি হল: ঙঁঃংড়ঁৎপরহম ঞৎধরহরহম জন্য প্রাথমিক বিষয়গুলো এখানে সহজলভ্য এবং সস্তা। প্রয়োজন শুধু একটি ইন্টারনেট সংযোগ এবং সঠিক সক্ষমতার শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার। বাংলাদেশের ৬৫% তরুণতরুণী (যাদের বয়স ১৮ হতে ৩৫ বছর)। তারা শিক্ষিত এবং কর্মক্ষেত্রে আরো অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সবাই ইচ্ছুক ও উৎসাহী। অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ করে প্রাপ্ত আয় যথেষ্ট ভাল এবং বাংলাদেশের গড় বেতনের তুলনায় তা আকর্ষণীয়। বাংলাদেশ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার দেশের তুলনায় সস্তায় ভাল মানের পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে।
অতএব, এই অপার সম্ভাবনার জায়গাটি সদ্ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণদেরকে সহযোগিতা করতে এবং সুপরামর্শ দিতে নীতিনির্ধারকগণ অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে অভিজ্ঞ মহল প্রত্যাশা করেন।
লেখক : সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
সম্পাদনা : ইকবাল খান