অধিকার আদায় করতে গিয়ে যেনো অশান্তি না হয় : প্রধানমন্ত্রী
ফাতেমা আহমেদ : নারীরা অধিকার আদায় করে নিতে যেয়ে যেনো পরিবারে কোনো অশান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল রোববার বেগম রোকেয়া দিবস ও রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। বিডিনিউজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলে গেছেন, ‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করবার কেন নাহি দেবে অধিকার হে বিধাতা’। এই কান্না আমরা কাঁদতে চাই না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়। অধিকার অর্জন করে নিতে হয়। সাথে সাথে এইটুকু বলবো অধিকার আদায় করতে গিয়ে সংসারে যেনো ঝামেলা না হয়, অশান্তি না হয়। সেটাও দেখতে হবে। এখানে সবারই একটা দায়িত্ব থাকবে। পরিবারেরও দায়িত্ব আছে। সমাজের প্রতিও দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্বটা থাকতে হবে। পরিমিতিবোধটা থাকতে হবে। আমি মনে করি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিমিতিবোধ। নারীরা দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে সবক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন সংগ্রাম করেছেন তার পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছিলেন আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। তিনি তার জীবনে যেই মহান আত্মত্যাগ করেছিলেন, তার সন্তান হিসেবে আমি তা জানি। তাই আজকের দিনে তাকে বারবার মনে পড়ছে।
নারীদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে মেয়েদের কোনো স্থান সমাজে ও সরকারে থাকে না। এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। সেটার দিকে নজর রেখে চাকরি থেকে শুরু করে নারীদের জন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ করে দিয়েছে।’
বেগম রোকেয়ার অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নারী সমাজকে যতটুকু প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি তার পথ দেখিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। একটা অন্ধকার যুগ ছিলো যখন মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ ছিল। সেই অচলায়তন ভেদ করেছিলেন বেগম রোকেয়া। তিনি লেখাপড়া শিখেছিলেন এবং তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেছিলেন। তার স্বপ্ন আমরা বৃথা যেতে দেইনি আর দেবোও না।’
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।