প্রতিবছর ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক জমা হচ্ছে সমুদ্রে
নূর মাজিদ : স্থলভাগ থেকে প্রতিবছর প্রাকৃতিক পানিচক্রের মাধ্যমে সমুদ্রে ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হচ্ছে। যার মধ্যে একটি বিপুল পরিমাণ অংশ বিশ্বের সমুদ্র সৈকতগুলোতে ভেসে আসছে, তবে বেশিরভাগ আবর্জনা সমুদ্রে ভাসমান দ্বীপে পরিণত হচ্ছে। প্লাস্টিক দূষণে প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থানের যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সেই বিষয়ে বিশ্ববাসী সচেতন হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র সংরক্ষণবাদী সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী জর্জ লিওনার্ড।
তিনি বলেন, ‘এই দূষণের উৎস বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সম্প্রসারণ। পরিস্থিতি পরিবর্তনে পণ্যটির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে মানুষ এই বিষয়ে আগের চাইতে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। আমরা বর্তমানে এই সমস্যার প্রাথমিক প্রভাব নিয়েই চিন্তা করছি। কিন্তু প্রকৃত সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং’। সুষ্ঠু উদ্যোগ এবং চেষ্টার মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতে প্লাস্টিক দূষণরোধ করা সম্ভব হবে বলেই তিনি মনে করেন। ন্যাশনাল মাল্টিমিডিয়া
ফরাসি গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কোইস গ্যালগানি বলেন, বানিজ্যিক জাহাজ এবং অন্যান্য সমুদ্রগামী মাছ ধরার যান থেকে প্লাস্টিকদূষণের পরিমাণ আরো প্রায় ২০ লাখ টন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৫শ কোটি প্লাস্টিকব্যাগ ব্যবহার করা হয়। সকল দেশ যদি পর্যায়ক্রমে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে তবেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি মনে করেন। ২০২১ সাল নাগাদ একবার ব্যবহার করা হয় এমন সকল প্লাস্টিক সামগ্রী নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। একে একটি শুভ সংবাদ বলেই জানান গ্যালগানি। ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলো সমুদ্রে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন