বিশ্বজুড়ে নারী-পুরুষের মজুরি ঘাটতি ৫১ ভাগেরও বেশি
লিহান লিমা : কর্মক্ষেত্রে মজুরির অসমতা নিয়ে অধিকার কর্মী ও নারীরা আন্দোলন করে আসলেও মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিশ্বজুড়ে নারী-পুরুষের মজুরি ঘাটতি ৫১ ভাগেরও বেশি। এই প্রেক্ষাপটে লৈঙ্গিক সমতা অর্জনে বিশ্বের লাগবে আরো দুই’শ বছর। তবে কর্মক্ষেত্রে নারীর সমতার বিষয়টি অঞ্চলভেদে একেক রকম। যেমন পশ্চিম ইউরোপিয় দেশগুলো ৬১ বছরের মধ্যেই লৈঙ্গিক অসমতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। এএফপি
অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর এটি নিয়ন্ত্রণে লাগবে ১৫৩ বছর। লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিতে শীর্ষে অবস্থান করছে আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান ও ইয়ামেনের অবস্থান সর্বনি¤œ।
বিশ্বের ২০ শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিতে ফ্রান্স রয়েছে ১২তম স্থানে, জার্মানি ১৪তম, ব্রিটেন ১৫তম, কানাডা ১৬তম এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের দিনদিন অবনতি হচ্ছে। দুই ধাপ নিচে নেমে দেশটির অবস্থান ৫১তম। দেশটির ওপর মন্ত্রীপর্যায়ের পদগুলোতে লৈঙ্গিক অসমতার অভিযোগ এসেছে।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফেরাম-ডব্লিউইএফ এর এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী লৈঙ্গিক সমতার যে অবস্থান তাতে আরো ১০৮ বছরেও নারী-পুরুষের আর্থিক সমতা অর্জন সম্ভব হবে না। আর কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্য কাটাতে লাগবে ২০২ বছর। এই প্রতিবেদনে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় বৃহত্তর অসমতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
জেনেভাভিত্তিক এই সংস্থাটির এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪৯টি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সুযোগ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। ডব্লিউইএফ জানায়, ২০১৭ সালের তুলনায় এই বছর নারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে নারী নেতৃত্ব ৩৪ ভাগে পৌঁছেছে। তবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গাণিতিক দক্ষতায় নারীর প্রতিনিধিত্বের ঘাটতি রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতে নারীর অংশগ্রহণ একেবারেই সীমিত, বিশ্বজুড়ে মাত্র ২২ ভাগ নারী এক্ষেত্রে কর্মরত আছেন।একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশদারিত্ব কম। নারীরা সাধারণত যে খাতগুলোতে কাজ করেন তার বেশিরভাগই নিয়ে নিচ্ছে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি।