স্পোর্টস ডেস্ক : বর্তমান ক্রিকেটে অর্থের ঝনঝনানি অনেক বেশি। আর যদি সেটা (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) আইপিএলের মতো আসর হয় তবে তো কথায় নেই। পুঁচকে ক্রিকেটাররাও রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছেন এই আইপিএলের কল্যাণে। গত মঙ্গলবার ভারতের জয়পুরে বসেছিল বারোতম আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠান। সে অনুষ্ঠানের পরই ভারতের কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কার দেখেছেন আজকের এই আইপিএলে যদি বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার কপিল দেব খেলতেন তবে তার মূল্য হতো ২৫ কোটি রুপি!
আসলে সত্যিই তো কপিলের অনবদ্য অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ওপর ভর করেই ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ছয়-সাত নম্বরে নেমে স্বীকৃত বোলার হয়েও ধুম-ধারাক্কা ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সুইংয়ের ছোবলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করে ওই সময় বিশ্বসেরা ছিলেন কপিল। আজকের টি-টোয়েন্টি যুগে কপিল যদি আইপিএলে খেলতেন, তাহলে তার দাম কত হতো? আরেক কিংবদন্তি ও ভারতীয় দলে কপিলের সতীর্থ সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, এই অঙ্কটা ২৫ কোটি রুপি ছুঁয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে অলরাউন্ডারদের কদরই আলাদা। দুই দিন আগে হওয়া আইপিএলের নিলামের কথাই চিন্তা করুন। যে ক্রিকেটাররা ব্যাট-বল দুই ক্ষেত্রেই দক্ষ, দাম উঠেছে তাদেরই। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারেনকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব কিনেছে ৭ কোটি রুপি দিয়ে, ৫ কোটি রুপির বিনিময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটট, ভারতীয় অলরাউন্ডার আক্সার প্যাটেলকেও ৫ কোটিতে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অর্থের ঝনঝনানি দেখেই গাভাস্কারের মনে তাই প্রশ্ন জেগেছে, কপিল আইপিএলের নিলামে উঠলে তার দাম কত হতো? পরে তিনি নিজেই উত্তর দিয়েছেন প্রশ্নটার- ২৫ কোটির কম নয়!
গাভাস্কার বলেন, ‘ব্যাট হাতে ছয়-সাত নম্বরে নেমে মারমার-কাটকাট ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে দুই দিকে সুইং করার ক্ষমতা নিয়ে সবাই জন্মায় না। কপিল আইপিএল খেললে ওর দাম অনায়াসে ২৫ কোটি রুপি হতো!’