নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় দলকে বিদায় বলেছেন অনেক আগেই। সতীর্থরা বুটজোড়া তুলে রেখে অন্যান্য পেশা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু রোকনুজ্জামান কাঞ্চন এখনো মাঠ মাতাচ্ছেন। শুধু মাতাচ্ছেনই না দলের হয়ে বড় ভূমিকাও রাখছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অদ্ভুত এক টাইব্রেকারে সবাইকে চমক লাগিয়েছেন সেই কাঞ্চন। স্বাধীনতা কাপে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। ছয় নম্বর শুট আউটে শট নিতে গিয়ে কাঞ্চন যখন গোলপোস্টকে পেছনে রেখে দাঁড়ালেন, তখনই সবাই বিস্মিত। রসিকতা করে কেউ কেউ বলছিলেন, কাঞ্চন গোলপোস্ট কোথায় সেটি ভুলে গেলেন নাকি! উল্টো দৌড় দিতে গিয়েই থেমে আবার গোলপোস্টের দিকে ছুটে শট নিয়েই করলেন গোল। কিন্তু এমন অদ্ভুতভাবে কেউ টাইব্রেকারে এর আগে শট নিয়েছিলেন কিনা, সেটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।
টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শট শেষে ছিল ৪-৪ গোলে সমতা। সাডেন ডেথের প্রথম অর্থাৎ ৬ নম্বর শটে আবাহনীর ডিফেন্ডার রায়হান হাসান গোল করতে পারেননি। কাঞ্চন গোল করতে পারলে সমতা, অন্যথায় স্বাধীনতা কাপ থেকে বিদায়। এমন উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে দর্শকদের উপহার দিলেন রোমাঞ্চ। শুট আউট শেষ পর্যন্ত অষ্টম শটে গড়ায় এবং আবাহনীর বিপক্ষে ৭-৬ ব্যবধানের জয় নিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস।
তবে এমন অদ্ভুত স্পট কিক নেওয়ার রহস্য কী বা কোথা থেকে শিখলেন এটা, জানতে চাইলে কাঞ্চন জানিয়েছিলেন এমনটা নাকি তাঁকে শিখিয়েছিলেন ২০০৩ সাফজয়ী অস্ট্রিয়ান কোচ জর্জ কোটান, ‘৬ নম্বর শট নেওয়া মোটেও সহজ নয়। আমি খুশি যে মাথা ঠান্ডা রেখে আমি আমার কাজটা করতে পেরেছি। এটা অনেক পুরোনো একটা কৌশল। যদিও ঢাকার মাঠে আজই প্রথম এটি প্রয়োগ করলাম। ঢাকার বাইরে খেলতে গিয়ে এমনটা বহুবার করেছি। এই সেমিফাইনালের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে এটা অনেক চেষ্টা করেছিলাম।ফলও পেয়েছি।’