গৃহ নির্মাণ ঋণ চান বিচার বিভাগের কর্মকর্তারাও
সোহেল রহমান : সরকারি কর্মচারীদের মতো ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ চান বিচার বিভাগের কর্মকর্তারাও। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহঋণ প্রদান নীতিমালায় জুডিশিয়াল সার্ভিসের চাকরিজীবীদের অন্তর্ভূক্ত করতে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত কর্মচারীরা ‘জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫’ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পান। কিন্তু বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োজিতরা ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ-২০১৬’ অনুযায়ী বেতন ও ভাতা পান। এ কারণে জুডিশিয়াল সার্ভিসের চাকরিজীবীদেরও গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধার আওতায় আনা উচিৎ। তবে গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই তাদের গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গৃহ ঋণের আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৃহ ঋণ দেয়ার জন্য নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে অন্তত: দুইজন সরকারি কর্মকর্তাকে ঋণ দিয়ে গৃহ ঋণ কার্যক্রম চালু করতে চায় সরকার। ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। ঋণ পাওয়ার আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ধরা হয়েছে ৫৬ বছর। ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এই ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সুদ নিলেও ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। সুদের বাকি অর্ধেক অর্থ সরকার ভর্তুকি হিসাবে পরিশোধ করবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান