৩১ ডিসেম্বরের এনআরসি ডেডলাইনকে ঘিরে আসামে আতঙ্ক
আসিফুজ্জামান পৃথিল : কয়েকমাস ধরে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না ভারতীয় কৃষক নূর মোহাম্মদ। তার ভয়, তার স্ত্রীকে খুব দ্রুতই রাষ্ট্রহীন হয়ে যেতে হবে। তাকে হয়তো ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। কারণ নূর মোহাম্মদের স্ত্রী সেই ৪০ লাখ অসমীয়াদের একজন, যাদের নাম এনআরসিতে নেই। স্ট্রেইট টাইমস।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনআরসিতে যাদের নাম উঠেনি তাদের শেষ সুযোগ থাকছে নাম উঠানোর। এরপর তাদের বহিরাগত সেটেলার ঘোষণা করা হতে পারে। এই নিয়ে রাজ্যটিতে জাতিগত দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ যারা নিজেদের নাগরিকতা ‘প্রমাণ’ করতে পারবেন না, তারা নাগরিক অধিকার হারাতে পারেন। হয়তো তারা হয়ে পড়বেন রাষ্ট্রহীন। আর এনআরসিতে নাম উঠানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এ কারণে বাদ পড়াদের অধিকাংশই নাম উঠাতে ব্যর্থ হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ মেহাম্মদ এএফপিকে বলেন, ‘আমরা খাঁটি ভারতীয় নাগরিক। আমি, আমার দুই পুত্র আর এক কন্যার নাম এনআরসিতে উঠলেও আমার স্ত্রীর নাম ওঠেনি’। যারা ১৯৭১ সালের পূর্বে আসামে বসবাসের প্রমাণ দিতে পারেননি তাদের নাম নেই খসড়া তালিকায়। আর যাদের জন্ম ১৯৭১ সালের পর, তাদের বাবা মার আসামে থাকার প্রমাণ দিতে হয়েছে। সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন