সাইদ রিপন : আলোচনার দু’ঘণ্টার মাথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ড. কামালের তিক্ত বাদানুবাদের পর ইসি’র বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, অভদ্র আচরণের প্রতিবাদে এই বয়কট। ইসি’র মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, সিইসি নগ্নভাবে পুলিশের পক্ষ নিয়েছেন।
নির্বাচন ভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে ইসির বৈঠক শুরু হয় বেলা ২টার দিকে। ড. কামাল সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না।’ সাথে সাথে তেতে ওঠেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে ড. কামাল হোসেনকে তিনি বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলছেন? নিজেকে কী মনে করেন? মিটিং ভেতরের খবর জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
‘‘আর ড. মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেব।’’
বাদানুবাদের পর সভা থেকে বের হয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যফ্রন্ট।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ইসি সরকারের পক্ষ হয়ে গেছে। বৈঠকে সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সিইসি কোনো ভদ্রোচিত সূচিত আচরণ করেননি। আমরা পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালে তিনি কোনো সহানুভূতি না জানিয়ে হঠাৎ করেই পুলিশের পক্ষেই অবস্থান নেন। তাই আমরা বৈঠক থেকে চলে এসেছি। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব, ইকবাল খান