নিজস্ব প্রতিবেদক : পরদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জাগিয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। পরের দিন সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন সে মাইলফলকের খুব কাছে। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের বোলিংয়ে সরাসরি বোল্ড হওয়ায় প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো দ্বিশতকের দেখা পাননি এনামুল হক বিজয়। তবে বিজয় ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ডে নর্থ জোনের বিপক্ষে জয়ের আভাস ঠিকই পাচ্ছে সাউথ জোন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে এখনো ৬২ রানে পিছিয়ে নর্থ জোন, হাতে রয়েছে মাত্র ৫টি উইকেট।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৪১ রানে অলআউট হয়েছে সাউথ জোন। বিজয় ও আলআমিন একশ পেরুলেও, দুশো করতে পারেননি কেউই। বিজয় ১৮০ এবং আলআমিন আউট হয়েছেন ১২৮ রানে। সাউথ জোনের লিড দাঁড়ায় ২৪৮ রানের। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করেছে নর্থ জোন
দ্বিতীয় দিন শেষে নিজের ১৭তম সেঞ্চুরি করা বিজয় অপরাজিত ছিলেন ১৫৫ রানে। আশা ছিলো হয়তো তৃতীয় দ্বিশতকের দেখা পেয়েই যাবেন তিনি। কিন্তু ১৮০ রানেই তাকে থামান সানজামুল। আগের দিন ১০৬ রান করে আহত অবসর হয়েছিলেন আলআমিন। আজ ব্যাটিংয়ে নামেন ৪০৭ রানের মাথায় দলের ৫ম উইকেট পতনের পরে। সেখান থেকে নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহে আরও ২২ রান যোগ করেন আলামিন। নর্থ জোনের পক্ষে বল হাতে ৬ উইকেট নেন সানজামুল। বাঁহাতি এ স্পিনারের প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারে এটি ১৮তম পাঁচ উইকেট শিকার। সাউথ জোন অলআউট হয় ৫৪১ রানে, পায় ২৪৮ রানের লিড। বিশাল লিডের নিচে চাপা পড়ে ব্যাট করতে নামে নর্থ জোন। মাত্র ১৬ রানে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। তবে তৃতীয় উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী ও নাঈম ইসলাম।
কিন্তু নাঈম ৫৭ ও জুনায়েদ ৭৭ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় তারা। দিন শেষে নর্থ জোনের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। জিয়া ১৫ এবং ধীমান অপরাজিত রয়েছেন ৩ রানে। শেষ দিনে তাদের ইনিংস পরাজয় এড়াতে করতে হবে আরও ৬২ রান।