সাব্বির আহমেদ : ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অংশ নিতে ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পাশাপাশি ভোটের খবর দ্রুত জানার স্বার্থে ফোর-জি চালু রাখার দাবিও জানানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন ছিলো। কিন্তু ফ্রন্টের কার্যালয় নয়াপল্টনের জামান টাওয়ারের নবম তলায় আগুন লাগায় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক। তিনি ফ্রন্টপ্রধান ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল আশা প্রকাশ করেন, ৩০ ডিসেম্বর ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন কমিশনকে বারবার বলার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণ মোটেও সহনীয় হয়নি, দিনকে দিন বাড়ছে আক্রমণের ধরণ।
ড. কামাল বলেন, নির্বাচনে দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘের মহাসচিবও এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। সম্ভ্যাব্য এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। এরপরও ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে, নিজের মালিকানা পুনঃরুদ্ধারে। জনগণই ঐক্যফ্রন্টের ভরসা। বীরের বেশে ভোটকেন্দ্রে যাবে তারা। হামলা করে ঐক্যফ্রন্টের অগ্রযত্রাকে দমানো যাবে না।
ভোটের দিন এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তত রাখাকে রক্তক্ষয়ী পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেন ড. কামাল। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব