শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগকে : ড. আতিউর রহমান
তানজিনা তানিন : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, গত এক দশক ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করার গুরু দায়িত্ব পালন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই জনসমর্থন তার দিকেই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
তিনি আরো বলেন, আগামী পাঁচ বছরও জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭.৭% থাকবে। এ হার বিশ্ব প্রবৃদ্ধির দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণেই এই অসামান্য অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং সামনের নির্বাচনে তাই তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবেই নির্বাচনী অভিযান পরিচালনা করবেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারাবাহিক অগ্রগতি তার শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং ভঙ্গুর বিরোধী নেতৃত্ব-সব মিলেই আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে তার সাফল্য দেখাবে।
আতিউর রহমান বলেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (অক্টোবর ২০১৮) মনে করে যে, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্য রয়েছে এবং জনগণও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গভীরভাবে বিশ্বাসী। তাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি বিদ্যমান’।
‘ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট’ (সেপ্টেম্বর ২০১৮) এর জরিপ মতে :
৬২% মানুষ বিশ্বাস করে যে দেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছে। ৬৯% অর্থনৈতিক অগ্রগতির বর্তমান ধারায় সন্তুষ্ট। ৬৪% উত্তরদাতা আওয়ামী লীগ জিতবে বলে বিশ্বাস করে। ৬৬% উত্তরদাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমর্থন করেন। ৬৭% মানুষ সরকারের স্বাস্থ্যসেবায় সন্তুষ্ট। ৬৪% মানুষ সরকারের বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। ৬১% সন্তুষ্ট রাস্তাঘাট, মহাসড়ক ও সেতু নির্মাণে। ৮১% আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন। এ ছাড়া এশিয়া ফাউন্ডেশন, ব্রিটিশ কাউন্সিলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের জরিপেই ধরা পড়েছে যে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার ফলে বিশ্ববাসীর আস্থা কুড়িয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণে আগ্রহ প্রবল। জাপানের ৭০% খুদে ও মাঝারি ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। এক বিদেশি জরিপ অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ তরুণ মনে করে আগামী পনেরো বছর ধরে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। এমন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের তরুণ ভোটাররা নিশ্চয় ৩০ ডিসেম্বর সমৃদ্ধির পক্ষেই অবস্থান নেবে। দ্রুতবেগের চলন্ত ট্রেন থেকে তারা অযথা কেন লাফ দেবে? যখন দেশে কোনো মন্দার আশঙ্কা নেই, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল, জিডিপি, ভোগ ও বিনিয়োগ বাড়ন্ত, খাদ্য ঘাটতি নেই, তখন আগামীর বাংলাদেশের মূল শক্তি নিশ্চয় তথাকথিত ‘অ্যান্টি-ইনকাম্বেসির’ খপ্পরে পড়বে না। নিশ্চয় তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো শক্তির সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অযথা ঝুঁকি নেবে না।